পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ডেপুটি স্পিকার শাহেদকে হত্যা

পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি

  • ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন পূর্ব বাংলার ইতিহাসে এক যুগান্তকারি অধ্যায়। অনেক প্রত্যাশার পর পাকিস্তানিদের অত্যাচারের প্রতিবাদে বাংলার জনগণকে নির্বাচনে বিজয় করে। কিন্তু যুক্তফ্রন্ট সরকার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। এসময় দেখা যায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। এমনকি এই আভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে তখনকার ডেপুটি স্পিকারকে প্রাণ দিতে হয়।
  • প্রশ্ন : ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর কয়টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়?

    উত্তর : ৪টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। যথা- আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, বামপন্থী গণতন্ত্রী পার্টি ও নেজামে ইসলাম।
    কিন্তু যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালে ৫টি দল নিয়ে নির্বাচন করে। যথা- আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, বামপন্থী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম ও খেলাফতে রব্বানী। নির্বাচনের আগে আবুল হাশিমের খেলাফতে রব্বানী পার্টি যুক্তফ্রন্টে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়।

     

    যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
    যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
  • পূর্বপাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস

    ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিন নিজ আসনে খালেক নেওয়াজ খান নামক ২৫ বছর বয়সী এক আইনের ছাত্রের নিকট প্রায় ৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির আব্দুল মান্নান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র তাজউদ্দিন আহমেদের নিকট প্রায় ১৩ হাজার ভোটে পরাজিত হন।

  • এছাড়াও মুসলিম লীগের চারজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও কমপক্ষে ৫০ জন মুসলিম লীগ নেতার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্টের শরিক দল আওয়ামী লীগ ১৪৩টি আসন পায়।
    যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার শুরু থেকেই মন্ত্রিত্ব নিয়ে শরিক দলগুলোর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয় যা ছিল যুক্তফ্রন্ট সরকারের চরম দুর্বলতা।
    মন্ত্রিসভা গঠনের কিছুদিন পর মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হক কলকাতা সফরে যান এবং সেখানে
    দুই বাংলার অধিবাসী ও তাদের ভাষা-সাহিত্য নিয়ে এক আবেগপ্রবণ ভাষণ দেন যা ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষেপিয়ে তোলে।
  • কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে বিরোধ ও যুক্তফ্রন্টের ক্ষমতাচ্যুতি- 

  • যুক্তফ্রন্ট সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২১ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন ও পূর্ববর্তী মুসলিম লীগ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘বর্ধমান হাউজ’কে ভাষা আন্দোলনের স্মারক গবেষণাগার ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরাগভাজন হয়। এ সময় কয়েকটি ঘটনা হক মন্ত্রিসভাকে চরম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। যথা-
    ক. ১৯৫৪ সালের ২ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
    খ. ১৯৫৪ সালের ১৫ মে আদমজি পাটকলে বাঙালি ও বিহারি শ্রমিকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
    গ. নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা কালাহানকে দেওয়া ফজলুল হকের সাক্ষাৎকার। পত্রিকার মতে ফজলুল হক পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
    যার ফলে ভারত শাসন আইনের ৯২ (ক) ধারা বলে ১৯৫৪ সালের ৩০ মে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করা হয় এবং পূর্ববাংলায় গভর্নরের শাসন শুরু হয়। মেজর জেনারেল ইস্কান্দর মীর্জা ছিলেন পূর্ব বাংলার গভর্নর। এ সময় আওয়ামী লীগের অনেক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ফজলুল হককে গৃহবন্দী রাখা হয়। কম্যুনিস্ট পার্টিকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 
  • পুনরায় যুক্তফ্রন্টের ক্ষমতারোহণ-

  • পরবর্তীতে গণপরিষদের স্পিকার মৌলভি তমিজ উদ্দিন খাঁন কোর্টে ৯২-ক ধারা চ্যালেঞ্জ করেন। দীর্ঘ মামলার পর ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেন। কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব বাংলার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা সরকার গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যে ফজলুল হককে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে পদচ্যুত করা হয়েছিল তাকেই কেন্দ্রীয় সরকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফজলুল হক কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আঁতাত করার সুযোগ পেয়ে পূর্ববাংলায় তার দলের (কৃষক-শ্রমিক পার্টি) সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার তদবির করতে থাকেন যদিও যুক্তফ্রন্টে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। তারপরও ফজলুল হক আবু হোসেন সরকারকে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টা করতে থাকেন। যুক্তফ্রন্টের বৃহত্তম শরিক হিসেবে আওয়ামী লীগ সেই জয়ের শরিক হতে পারল না। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা ফজলুল হকের মনোনীত রংপুরের আবু হোসেন সরকারকে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী করা হল। এর মাধ্যমে যুক্তফ্রন্টের ঐক্যের পতন ঘটে।আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মোহাম্মদ আলীর সাথে দেখা করে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের পক্ষে যুক্তি পেশ করেন। মোহাম্মদ আলী স্বীকার করেন যে, প্রাদেশিক পরিষদে বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে আতাউর রহমান মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করতে পারেন কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি একজন কম্যুনিস্টকে কিভাবে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিবেন? কারণ আতাউর রহমান খান ১৯৫২ সালে পিকিংয়ে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। এভাবেই যুক্তফ্রন্টে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। 
  • আওয়ামী লীগ ও কৃষক-প্রজা পার্টির চরম বিরোধ-

  • রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতার মধ্যে ১৯৫৬ সালের আগস্ট মাসে প্রাদেশিক আইন পরিষদের বৈঠক আহ্বান করা হয়। কিন্তু আইনপরিষদে আবু হোসেন সরকারের মন্ত্রিসভা আস্থা ভোটে পরাজিত হবে ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ফজলুল হক উক্ত পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পূর্বে অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তারপরও এই পরিকল্পনা প্রাদেশিক সরকারের পতন ঠেকাতে পারেনি। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কোয়ালিশন সরকারের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ৩০ আগস্ট ১৯৫৬ সালে আবু হোসেনের মন্ত্রিসভার পতন ঘটে। ইতোমধ্যে শেরে বাংলা ফজলুল হক পূর্ববাংলার গভর্নর হন।
  • আবু হোসেনের মন্ত্রীসভা পতনের পর গভর্নর ফজলুল হক বিরোধী দলীয় নেতা আতাউর রহমান খানকে মন্ত্রিসভা গঠনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়। এই কোয়ালিশন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন আতাউর রহমান খান। পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার গঠনের ৫ দিন পর কেন্দ্রেও আওয়ামী লীগরিপাবলিকান পার্টির কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়। এই নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন শহীদ সোহরাওয়ার্দি। ফলে প্রদেশে ও কেন্দ্রে উভয় স্থানেই আওয়ামী লীগের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের জুলাই মাসে মুসলিম লীগ থেকে কিছু সদস্য বেরিয়ে রিপাবলিকান পার্টি গঠন করেছিলেন।
  • কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনামল শান্তিপূর্ণ হতে পারে নি। কেন্দ্র ও প্রদেশে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতির প্রশ্নে পার্টির অভ্যন্তরে কোন্দল দেখা দেয়। মাওলানা ভাষানীর অনুসারী ও সোহওরাওয়ার্দির অনুসারীদের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিভেদ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত মাওলানা ভাষানী আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে ইস্তফা দেন ও National Awami Party (NAP) গঠন করেন। আওয়ামী লীগের অনেক সদস্য ন্যাপে যোগ দেন। এমতাবস্থায় সরকার আসন্ন আইন পরিষদের বাজেট অধিবেশ কিছুদিন স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেন। ফজলুল হক তখন গভর্নর পদে ছিলেন। তিনি উল্টো মন্ত্রিসভা ভেঙে দেন (৩১ মার্চ, ১৯৫৮) ও আবু হোসেনকে সরকার গঠনের নিমন্ত্রণ জানান। এ সময় কেন্দ্রে ফিরোজ খানের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় টিকে ছিল। স্বভাবতই পূর্ববাংলায় আওয়ামী লীগ সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য কেন্দ্র সরকার গভর্নর ফজলুল হককে বরখাস্ত করে (১লা এপ্রিল, ১৯৫৮)। 
  • পূর্ববাংলার চিফ সেক্রেটারিকে অস্থায়ী গভর্নরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন অস্থায়ী গভর্নর আতাউর রহমান খানের সরকারকে পুনর্বহাল করেন (১ এপ্রিল)। কিন্তু এর দেড় মাস পরেই (১৮ জুন) পরিষদে খাদ্য পরিস্থিতির উপর ভোটাভুটিতে আওয়ামী লীগ ভোটে হেরে যায়, তখন ন্যাপ ভোট প্রদানে বিরত থাকে।
    ফলে ১৯ জুন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে
    আবু হোসেন সরকার একটি কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠন করে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাথে বৈদেশিক নীতিতে ন্যাপের সম্পর্ক ভালো হয়।
    আওয়ামী লীগ
    ন্যাপের সমর্থন নিয়ে আবু হোসেন সরকারকে আইন পরিষদে (২৩ জুন, ৫৮) অনাস্থা ভোটে পরাজিত করে। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা না দিয়ে কেন্দ্রের শাসন জারি করা হয়। দুই মাস পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেওয়া হয়।
  • ৪ বছর শাসনে ৭বার মন্ত্রিসভার বদল ও ডেপুটি স্পিকারকে হত্যা-

  • এভাবে ১৯৫৪ সালের মার্চ থেকে ১৯৫৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রদেশে সাতটি মন্ত্রিসভাতিনবার গভর্নরের শাসন চালু হয়। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর মাসে আইন পরিষদে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি হয় এবং অক্টোবরে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে আইন পরিষদের অবসান ঘটে।
  • আইন পরিষদের স্পিকার আব্দুল হাকিম ছিলেন কৃষক-শ্রমিক পার্টির এবং ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী ছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয়। এই অস্থিতিশীল পরিবেশে ১৯৫৮ সালে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এরই প্রেক্ষিতে ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৮ সালে আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে দেওয়ান মাহবুব আলী এম.পি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে। স্পিকার এক রুলিং দিয়ে তা বাতিল করে দেন। ফলে আইন পরিষদ ভবনে গোলযোগ সৃষ্টি হয়। স্পিকার পরিষদ কক্ষ ত্যাগ করে। তখন ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী স্পিকারের দায়িত্ব নেন। এ সময় মাহবুব আলী স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পুনরায় উত্থাপন করলে ১৭০ জন সদস্য তা সমর্থন করে। অতঃপর পিটার গোমেজ নামক জনৈক এমপি স্পিকারের মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা গৃহীত হয়। যার ফলে স্পিকার আব্দুল হাকিম তাঁর পদ থেকে অপসারিত হন।

    Shahed Ali Patwary
    Shahed Ali Patwary
  • কৃষক-শ্রমিক পার্টির সদস্যরা তা মেনে নিতে পারে নি। ২৩ সেপ্টেম্বর ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী আসন গ্রহণের সাথে সাথে তাঁর দিকে বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ হতে থাকে। এতে শাহেদ আলী আহত হন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মারা যান। এরপর ৭ অক্টোবর (১৯৫৮) পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি হলে পূর্ববাংলায় সংসদীয় সরকারের বিলুপ্তি ঘটে। এভাবেই চার বছরের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটে।
  • পাকিস্তান আমলে যেসব বাংলাদেশি সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়-

  • আপনি জানেন কি পাকিস্তান শাসনামলে ৩ জন বাংলাদেশি সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। তারা হলেন-
    ১. মোহাম্মদ আলী বগুড়া (৩য় প্রধানমন্ত্রী)

    ২. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি (৫ম প্রধানমন্ত্রী)
    ৩. নূরুল আমিন (৮ম প্রধানমন্ত্রী)

  • লেখক
    ওমর ফারুক
    রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
  • পরবর্তী আলোচনা দেখুন- ছয় দফা আন্দোলনের ইতিহাস

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart

You cannot copy content of this page

Scroll to Top