লালসালু উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন
- উপন্যাসে রেলগাড়িকে তুলনা দেয়া হয়েছে অজগরের সাথে।
- যারা নলি (জাহাজের খালাসি) বানিয়ে ভেসে পড়ে তাদের দৃষ্টি দিগন্তে আটকায় না।
- গ্রামের মানুষের আসল জিনিস অর্থাৎ বদনা না হলে বিদেশে এক পা চলে না।
- ছোকড়া বয়সী অনেকের গলায় ঝোলানো তাবিজের থোকা ছাড়া আর কোনো বস্ত্র থাকে না। বয়স হলে এরা আর কিছু না হোক শক্ত করে গিরেটা দিতে শেখে।
- ভোরবেলায় মক্তবে জোরে পড়া হয় বলে একে খোদা তায়ালার বিশেষ দেশ মনে হয়। ন্যাংটা ছেলেও আমসিপারা পড়ে, গোঁফ উঠতে না উঠতেই কোরান হেফজ শেষ হয়ে যায়।
- গারো পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় তৈরি করা হয় বাঁশের মসজিদ।
- দূর জঙ্গলে বাঘ ডাকে। কখনো হাতির দল কুঁদে নেমে আসে।
- নিরাক পড়েছে শ্রাবণের শেষ দিকে। এমন দিনে লোকেরা ধানক্ষেতে নৌকা নিয়ে বেরোয়।
- কোথাও একটা কাক আর্তনাদ করলে মনে হয় আকাশটা যেন চটের মতো চিরে গেল।
- মজিদকে প্রথম দেখতে পায় তাহের কাদের। তারা তখন নৌকা নিয়ে কোঁচ বা বর্শা দিয়ে মাছ শিকার করছিল। মাছ ধরতে ধরতে মতিগঞ্জের সড়কে পৌছায়। সেখানেই প্রথম মজিদকে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দেখা যায়। মজিদ সেখান থেকে উত্তরে মহব্বতনগর গ্রামের দিকে যায়। সেই গ্রামেই তাহের-কাদেরের বাড়ি অবস্থিত।
- মজিদের প্রথম সভায় অতিশীপর বৃদ্ধ সলেমনের বাপও ছিল। তিনি হাঁপানির রোগী ছিলেন। মোদাচ্ছের পীরের মাজার সংক্রান্ত সে কিছুই জানে না।
- মজিদ ছিল গারো পাহাড়ে, মধুপুর গড় থেকে তিনদিনের পথ। স্বপ্নাদেশে সে মহব্বতনগর গ্রামে আসে।
- মাছের পিঠের মতো সালু কাপড়ে আবৃত নশ্বর জীবনের প্রতীকটির পাশে মজিদের জীবন পদে পদে এগিয়ে চললো।
- গারো পাহাড়ের শ্রমক্লান্ত হাড় বের করা দিনের কথা স্মরণ করে মজিদ শিউরে উঠে।
- মজিদের কোরান তেলাওয়াত করার স্বর বেশ সুমধুর। তার কোরান তেলাওয়াতকে হাস্নাহেনার মিষ্টি মধুর ঘ্রাণের সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে।
- গ্রামের মানুষরা প্রচুর পরিশ্রম করে। অগ্রহায়ণের শীতে খোলা মাঠে হাড় কাঁপায়। কার্তিকে পানি সরে এলেও কচুরিপানা জড়িয়ে থাকে জমিতে।
- কালবৈশাখির কারণে কোচবিদ্ধ হয়ে (বর্শা) নিহত ছমিরুদ্দিনের রক্তাক্ত দেহ দেখে আবেদ-জাবেদের খুশি হওয়ার কথা থাকলেও তারা শোকে পাথর হয়ে যায়। মজিদের কারণে তাদের মধ্যে খোদায় ভয় জাগে।
- মজিদ শ্যেন দৃষ্টিতে (বাজপাখির প্রখর দৃষ্টি) ধানকাটা দেখে। কিন্তু গ্রামবাসীর মতো পুলক জাগে না তার অন্তরে।
- মজিদ ধরাছোয়ার বাইরে। তার যোগসূত্র রহিমা।
- তাহের কাদের ও রতনের বোন হাসুনির মা। সে ধান ভানার কাজ করত। বুড়া-বুড়ির ঝগড়ার কারণে সে নিজের মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করে রহিমার কাছে। তার ভাইদের বুদ্ধি বিবেচনা থাকলেও স্বার্থের ঘোরে ঢাকা। বাবার জমি আছে বিধায় তারা বাবার পক্ষ নেয়।
- এককালে বুড়ো বুদ্ধিমান লোক ছিল। বৈমাত্রেয় এক ভাই তার জায়গা জমি নিয়ে মামলা করায় সে আজ নিঃস্ব। বুড়ো শয়তানের খাম্বা; অন্তরে তার কুটিলতা ও অবিশ্বাস। (বুড়োর ঝগড়ার কথা মজিদ আধ্যাত্মিকভাবে জানতে পেরেছে এই কথা বিশ্বাস না করায় বুড়োর অন্তরে কুটিলতা ও অবিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে)
- সাধারণ গালাগাল করে বুড়োকে ক্ষেপানো যায় না বলে বুড়ি সন্তানদের জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যাতে বুড়োর আত্মায় গিয়ে খচ করে লাগে।
- দুই বা তিন বছর অন্তর অন্তর মাজারের গাত্রাবরণ বদলানো হয়। ব্যাপারীই সেই খরচ বহন করে। মজিদ পুরোনো গাত্রাবরণটি বেশ চড়া দামে বিক্রি করে।
- বুড়ির মুখে জন্মের কথা শুনে হাসুনির মায়ের কান লাল হয়ে ওঠে, বুকে যন্ত্রণা হয়। তাই রহিমাকে কথাটি বলে।
- ক্রন্দনরতা মেয়েকে (হাসুনির মা) দেখতে মজিদের ভালো লাগে।
- বুড়োর বাড়ির খবর মজিদ অন্তরের শক্তি দিয়ে জানতে পেরেছে- এটি বুড়ো বিশ্বাস করে না। হাসুনির মা রহিমার মাধ্যমে মজিদের কাছে বুড়োর ব্যাপারে বিচার দেওয়ায় বুড়ো হাসুনির মাকে প্রাণের আশ মিটিয়ে পিটায়। ফলে মজিদ বুড়োর বিচার করে।
- ঝড়ে মহব্বতনগরের সর্বোচ্চ তালগাছটি বন্দি পাখির মতো আছড়াতে থাকে।
- যেদিন মহব্বতনগর গ্রামে প্রচণ্ড ঝড় হয়, সেদিন বুড়ো (তহুর বাবা) তার মেয়ে হাসুনির মার কাছে চেয়ে চিড়াগুড় খায়। মজিদের কথামত হাসুনির মার কাছে মাফ চায়। তারপর চিরতরে হারিয়ে যায়।
- মজিদ হাসুনির মাকে বেগুনি রঙের শাড়ি দেওয়ায় রহিমা মনঃক্ষুণ্ন হয়। কিন্তু সে মুখে প্রকাশ করে না।
- গৃহস্থের গোলায়-গোলায় যখন ধান ভরে ওঠে তখন দেশময় পিরদের সফর শুরু হয়। এসময় তাদের খাতির-যত্ন ভালো হয়, মানুষের মেজাজও খোলাসা থাকে।
- বনু মুস্তালিকের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসার পথে আয়েশা (রা.) দলচ্যুত হয়ে পড়েন। পরে একদল সিপাহী তাঁকে উদ্ধার করেন। কিন্তু তাঁর নামে অপবাদ ছড়ানো হয় যা সূরা আন-নূর থেকে মজিদ অর্থ করে শোনায়।
- সকলকে মিঞা বলে সম্বোধন করা মজিদের অভ্যাস।
- গ্রামবাসীদের বড়াই করা অভ্যাস। ৫০ মণ ধান হলে ১০০ মণের কথা বলে বড়াই করে। কিন্তু মজিদের সামনে বড়াই করা দূরের কথা, ন্যায্য কথা বলতেই সংকোচ করে।
- মজিদের রুহানি তাকত নেই বলে অন্তরে দীনতা বোধ করে।
- মজিদ কালুর বাপকে এই মিথ্যা বলে যে, করিমগঞ্জের ডাক্তার মজিদের মুরিদ। তাই তার খুব খাতির যত্ন করেছে।
- ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মতলব খাঁ আওয়ালপুর পীরের মুরিদ। সে পীরের গুণাগুণ সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে। নতুন পীরের আগমন মজিদকে শঙ্কিত করে তোলে। মজিদের প্রভাব কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের মতো মিলিয়ে যাবে বলে তার ভয় হয়।
- মজিদ বেঁটে মানুষ। পায়ের আঙুল দাঁড়িয়ে বকের মতো গলা বাড়িয়ে পির সাহেবকে একবার দেখার চেষ্টা করে।
- সমাজে জানাযা পড়ান খোনকার মোল্লা। মজিদ যখন আওয়ালপুরের পীরকে দেখতে যায়, তখন অনেকেই মজিদকে চিনেও না চেনার ভান করে। যেন বিশাল সূর্যোদয় হয়েছে, আর সে আলোয় প্রদীপের আলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
- মজিদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে মজিদকে না জানিয়ে একদল যুবক জেহাদি জোশে বলীয়ান হয়ে আওয়ালপুরের পীরের দরবারে উপস্থিত হয়। পরে সেখানে বিপর্যস্ত হলে করিমগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার ভাং-গাঁজা খাওয়া হাড়গিলে চেহারার কম্পাউন্ডারকে মজিদের ডাক্তার মনে হয়। সেখানে মজিদ বলে, “পোলাগুলিরে একটু দেখবেন। ওরা বড় ছোয়াবের কাজ করেছে। ওদের যত্ন নিলে আপনারও ছোয়াব হবে।”
- কালুদের কল্লা ধড় থেকে আলাদা করতে না পারায় পীরের মুরিদদের আফসোস হয়।
- আওয়ালপুরের পীরের ভণ্ডামি জনসম্মুখে ধরিয়ে দেয়াটা খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রী আমেনা পছন্দ করে না। যার ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল অথচ এখন ত্রিশ বছর চললেও তার সন্তান হয়নি। তার সতীন তানু বিবি প্রতি বছর সন্তান জন্ম দেয় বলে তার সহ্য হয় না। সে আওয়ালপুরের পীরের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিল। তার পানি পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠছিল।
- মেয়ে মানুষ যখন পুরুষের গলা জড়িয়ে কিছু আবদার করে তখন আর নিস্তার থাকে না।
- খালেক ব্যাপারী আমেনার পীড়াপীড়িতে তার দ্বিতীয় বউয়ের বড় ভাই ধলা মিয়াকে আওয়ালপুরের পীরের নিকট থেকে পানি পড়া আনতে পাঠায়। কিন্তু সে মজিদকে এই কথা বলে দেয়।
- রহিমা মনে মনে স্থির করে যে, পাক দেওয়া শেষ হলে আমেনা বিবিকে ফিরনি খেতে দিবে।
- খালেক ব্যাপারীর স্ত্রী মাজারে পাক দেয়ার পর রহিমা তাকে ফিরনি খাওয়ানোর ইচ্ছে করেছিল। আমেনা একটু চাপা স্বভাবের হলেও রহিমার সাথে সে প্রাণ খুলে কথা বলত।
- আমেনা বিবি গায়ে মাথায় বুটিদার হলুদ রঙের একটা চাদর দেয়।
- আক্কাস বিদেশে ছিল বহুদিন। তার বাবার নাম মোদাব্বের মিঞা। সে মুরুব্বিদের বুদ্ধি নিয়ে সন্দেহ করায় অনেকেই পছন্দ করছিল না। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ায় অনেকে চিন্তামুক্ত থাকে। সে গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য রীতিমত চাঁদা তোলা শুরু করে।
- মজিদ আক্কাসকে প্রথমেই দাঁড়ি নিয়ে প্রশ্ন করায় সে হতভম্ব হয়ে যায়। আক্কাসকে নিয়ে বিচার সভায় মজিদ পাকা মসজিদের প্রস্তাব করে স্কুলের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। খালেক ব্যাপারী মসজিদের বারো আনা খরচের দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ করে। সে আমেনাকে তালাক দিয়ে মনের কষ্ট লাঘবের জন্য মসজিদ নির্মাণে এই সহায়তা করতে চায়।
- মজিদ আসার আগে শিলাবৃষ্টির ভয়ে মানুষ শিরালি (মন্ত্র) ডাকত। নারীদের মধ্যে লজ্জাশীলতা দেখা দিয়েছে। একশ দোররার ভয়ে ব্যভিচার বন্ধ হয়ে গেছে।
- খালেক ব্যাপারী আমেনাকে তালাক দেওয়ায় নতুন চেতনা সঞ্চারিত হয়। সংসার থেকে বাজা বউদের বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে।
- মজিদ যখন জমিলাকে বিয়ে করতে যায় তখন বেড়ার ফাঁক দিয়ে খোদেজা বুবু তাকে দেখে।
- ঘরের ম্লান আলোয় কবরের অনাবৃত অংশটা মৃত মানুষের খোলা চোখ মনে হয়।
- মজিদ সন্তানের কামনা করলে রহিমা হাসুনিকে পুষ্যি রাখার ইচ্ছে করে। কিন্তু মজিদ তাতে বাধা দেয়।
- রহিমার বেদনা ও নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অভিমানে জমিলার গলা ভারি হয়ে উঠে। কিন্তু সে রহিমাকে বলে যে, বাড়ির জন্য তার প্রাণ জ্বলে।
- অবিশ্রান্ত ঢোল বেজেই চলে ডোমপাড়ায়।
- অল্পবয়সী হওয়ায় মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী জমিলাকে বেড়ালছানার সাথে তুলনা দেয়া হয়েছে। জমিলাকে দেখে রহিমার শ্বাশুড়ি শ্বাশুড়ি ভাব জাগে। জমিলা প্রথম দিকে খুব লজ্জাবতী ভাব নিলেও কিছুদিন পরেই তার আসল রূপ দেখা যায়। প্রথমে সে ঘোমটা খোলে, তারপর মুখ আড়াল করে হাসতে শুরু করে, তারপর তার মুখে খই ফুটতে থাকে।
- মহব্বতনগরে মজিদের আচরণের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ করে জমিলা।
- মজিদ জমিলাকে মিথ্যা গল্প শোনায়। সেখানে সে রাতে সিংহের ভয়াবহ গর্জন শুনেছে বলে প্রকাশ করে।
- জমিলার হাড়হীন কোমল হাতকে লইট্টা মাছের সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন : অপরিচিতা গল্প
Sir, apnar class gula sob e dekhi ami
ধন্যবাদ। অন্যদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।
আসসালামু আলাইকুম স্যার। আপনার কন্টেন্ট গুলো খুব ভালো হয়। অনেক উপকার হইসে আমার পরীক্ষায়।
ধন্যবাদ। অন্যদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।
thanks sir again thanks onk onk opokar hoise exam a last moment a ai gurutto purono tips gula pore gele pura opponas somporke akta vlo idea paoya jay onk opokar hoise again thanks a lot ❤
ধন্যবাদ আপনাকে
খুবই ভালো লাগলো। উপন্যাসের এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পড়ে খুবই উপকৃত হলাম।
ধন্যবাদ। অন্যদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।