সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা
- মাসআলা নিয়ে উলামায়ে কেরাম এই ব্যাপারে একমত যে, যদি কোনো ব্যক্তি ঈমান ও ইসলামে প্রবেশের জন্য জানতে আসে তবে তাঁকে তৎক্ষণাত তালিম দেওয়ার ওয়াজিব। (আর-রসূল আল-মুআল্লিম, ৩৩ নং পৃষ্ঠা)
- মসজিদ যদি মাটি বা বালুর হয় তাহলে নামাযের মধ্যে থুথু ফেলার প্রয়োজন হলে বাম পায়ের নিচে ফেলবে। কিন্তু মসজিদ যদি বর্তমান সময়ের মতো মোজাইক বা টাইলস দ্বারা সজ্জিত হয় তাহলে মুসল্লি অপরাগ হয়ে কাপড়ে থুথু ফেলবে। এমনটাই ইমাম বুখারি (র.) করেছেন। (আর-রসূল আল-মুআল্লিম, ৬৯ নং পৃষ্ঠা)
- যদি কোনো ব্যক্তির আসল উদ্দেশ্য থাকে আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করা তাহলে অন্যান্য বিষয়ের আকাঙ্ক্ষা যেমন বীরত্ব, গনিমত ইত্যাদি জিহাদের জন্য ক্ষতিকর হবে না। (আর-রসূল আল-মুআল্লিম, ১৪৭ নং পৃষ্ঠা)
- গীবতের সীমারেখা সম্পর্কে একটি চমৎকার ও সুস্পষ্ট আলোচনা দেখুন- (আর-রফউ ওয়াত তাকমিল, ৫২-৫৬ নং পৃষ্ঠা)
- ইবনে আব্বাস (রা.) তার দাসকে ওসিয়ত করে বলেন, দোয়াতে ছন্দমিল পরিহার কর। আমি রাসুল (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের এটি গুনাহের কাজ মনে করতে দেখেছি। (বুখারি, হাদিস নং ৬০৯৩)
সুতরাং বুঝা গেল, দোয়াতে ছন্দমিল রাখা ঠিক না। - আল্লামা শামি (রহ.) বলেন, দ্বীনি বিষয়সমূহ পাঁচ জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইতেক্বাদ (আকিদা), আদাব (শিষ্টাচার), ইবাদত, মুআমালাত (লেনদেন) ও উকুবাত (অন্তিম পরিণতি)। (ফতহুল মুলহিম, ৩য় খণ্ড, ৩৬৯ নং পৃষ্ঠা)
- আল্লামা ইযউদ্দিন আব্দুস সালাম (রহ.) বলেন, আল্লাহর সব নামের ফযিলত চারটি নামের ভেতর। যথা- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর এগুলোকেই ‘আলবাকিয়াতুস সালিহাত’ বলা হয়েছে। (ফতহুল মুলহিম, ৩য় খণ্ড, ২৭৩ নং পৃষ্ঠা)
- মুসনাদে বাযযার কিতাবে সহিহ সনদে হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি ক্বিয়ামতও সংঘটিত হয় তখন যদি তোমার নিকট একটি চারাগাছও থাকে তবুও তুমি তা রোপণ কর। (তাকমিলাতু ফতহুল মুলহিম, ১ম খণ্ড, ৩০৩ নং পৃষ্ঠা)
- রাসুল (সা.) সকালে গমনকারী ব্যবসায়ীদের জন্য দোয়া করেছেন। আর এই হাদিসটি হাসান। (তিরমিযি, ১ম খণ্ড, ২৩০ নং পৃষ্ঠা)
- প্রচলিত বাদ্যযন্ত্র দ্বারা সংগীত ও সিমা গান ইত্যাদি হারাম হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখুন- (দরসে তিরমিযি, ৩য় খণ্ড, ৩৫৩-৩৬০ নং পৃষ্ঠা)
- আযানের পূর্বে দুরুদ পড়া সম্পর্কে কোনো হাদিস পাওয়া যায় না। কিন্তু আযানের পর দুরুদ পড়া হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এই সংক্রান্ত হাদিস দেখুন- (সুনানে নাসায়ি, ১ম খণ্ড, ৭৮ নং পৃষ্ঠা)
- নামাযের জন্য দাঁড়ানোর সময় দুই পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রাখা মুস্তাহাব। তবে তাহাভি (রহ.) বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় দাঁড়ানো উত্তম। কাযি আব্দুল জাব্বার বলেন, যদি কেউ ওজর ছাড়া পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর করে নামায পড়ে তবে তা জয়েয হবে না। তবে আল্লামা আব্দুল হাই লখনৌভি (রহ.) বলেন, নামায হয়ে যাবে কিন্তু মাকরুহে তাহরিমি হবে। (আস-সিয়াহা, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা নং ১১১)
- দুয়ায় হাত তোলা সম্পর্কে একটি সুন্দর আলোচনা দেখুন- (ফতহুল মুলহিম, ৪র্থ খণ্ড, ৩৯১ নং পৃষ্ঠা)
- শায়খুত তালিম কেন শায়খুত তরবিয়তের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখুন- (রিসালাতুল মুসতারশিদিন, পৃষ্ঠা নং ৭১-৭২)
- আল্লামা আবুল কাসেম বিন মানসুর (রহ.) বলেন, মুবাহ বিষয়গুলো বান্দা ও মাকরুহ বিষয়গুলোর মাঝে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ। সুতরাং যে ব্যক্তি মুবাহের মধ্যে অধিক লিপ্ত হবে সে অচিরেই মাকরুহের মধ্যে পতিত হবে। আর যে ব্যক্তি মাকরুহের মাঝে অধিক লিপ্ত হবে সে অচিরেই হারাম কাজে লিপ্ত হবে। (রিসালাতুল মুসতারশিদিন, পৃষ্ঠা নং ৭৫)
- আরও জানুন- গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক মাসআলা সম্পর্কিত আলোচনার সূত্র