Skip to content

চাঁদ দেখার মাসআলা

    সারাবিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন কী সম্ভব?

    1. হযরত কুরাইব (রহঃ) বর্ণনা করেন, আমার আম্মা আমাকে কোন প্রয়োজনে সিরিয়ায় হযরত মু’য়াবিয়া (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন। আমি সেখানে গেলাম এবং প্রয়োজনীয় কাজ সমাধা করলাম । সেখানে থাকা অবস্থায় রমজানের চাঁদ উঠল । আমরা শুক্রবার রাতে চাঁদ দেখলাম এবং পরদিন থেকে রোজা রাখা শুরু করলাম ।
    2. রমজানের শেষ দিকে যখন আমি ফিরে আসি, তখন ইবনে আব্বাস (রাঃ) আমাকে বিভিন্ন বিষয়াদি জিজ্ঞেস করলেন । এক পর্যায়ে রমজানের চাঁদ নিয়ে কথা উঠলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা রমজানের চাঁদ কবে দেখেছ?” আমি বললাম, শুক্রবার । তিনি পুনরায় প্রশ্ন করলেন, তুমি নিজে শুক্রবার চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ । আমরা সকলেই শুক্রবার চাঁদ দেখেছি এবং হযরত মু’য়াবিয়া (রাঃ)সহ আমরা সকলেই সেদিন থেকে রোজা রাখা শুরু করেছি ।
    3. ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, কিন্তু আমরা তো শনিবার চাঁদ দেখেছি এবং আমরা ঈদের চাঁদ দেখা বা রমজান মাসকে ত্রিশদিনে পূর্ণ করা ছাড়া রোজা ভাঙবো না (ঈদ করা)। আমি বললাম হযরত মু’য়াবিয়া (রাঃ) এর চাঁদ দেখা কি আপনার রোজা রাখার জন্য যথেষ্ট নয়?
      আরও জানুনঃ মাসআলা সম্পর্কিত কিছু আলোচনা (রেফারেন্সসহ)

      তিনি বললেন, না । কেননা, এমনটিই (চাঁদ দেখে রোজা রাখা ও রোজা ভাঙার) রাসূল (সা.) আমাদেরকে আদেশ করেছেন। (সহীহ মুসলিম, সুনানে তিরমিযী, সুনানে আবি দাউদ, অধ্যায়- রোজা, অনুচ্ছেদ- প্রত্যেক শহরবাসী পৃথক পৃথক চাঁদ দেখবে)
    4. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো ও চাঁদ দেখে রোজা ভাঙো, অন্যথায় মাসকে ত্রিশদিনে পূর্ণ করো। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

     

    আমাদের অনুশীলন সিরিজের বইগুলো অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করুন- এখানে

    Leave a Reply

    You cannot copy content of this page