বাংলা উচ্চারণের নিয়মাবলি
বাংলা উচ্চারণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। পরীক্ষায় সাধারণত এসব নিয়ম থেকে প্রশ্ন আসে। এখানে উচ্চারণের নিয়মাবলি তুলে ধরা হল।
বাংলা উচ্চারণের ভূমিকা
- ১. উচ্চারণ ও বানান সবক্ষেত্রে এক হয় না। ইংরেজিতে যেমন বানান knowledge অথচ উচ্চারণ Nolez, তেমনি বানান লেখা হয় ‘দাহ্য’ অথচ উচ্চারণ ‘দাজ্ঝো’।
২. বাংলায় প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরধ্বনির উচ্চারণ থাকে। যেমন- ক (ক+ অ), ব (ব+অ)।
৩. যেক্ষেত্রে ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরধ্বনির উচ্চারণ হয় না সেক্ষেত্রে হসন্ত ( ্) চিহ্ন হবে। যেমন- সাকিব (সাকিব্), ফারুক (ফারুক্) ইত্যাদি।
৪. সাধারণত যুক্তবর্ণের সাথে কোনো ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন- যক্ষ্মা (যক্খা), বন্দ্যোপাধ্যায় (বন্দোপাদ্ধায়) ইত্যাদি।
৫. বিবৃত (open) : যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখবিবর সম্পূর্ণ উন্মুক্ত থাকে, তাকে বিবৃত স্বরধ্বনি বলে। যেমন- আ।
৬. সংবৃত (closed) : ঠোঁট সবচেয়ে কম খোলা থেকে উচ্চারিত স্বরধ্বনিকে সংবৃত স্বরধ্বনি বলে। যথা- ই, উ।
বানান | উচ্চারণ | উদাহরণ |
---|---|---|
ণ | ন | করুণা (কোরুনা), চরণ (চরোন্), প্রচণ্ড (প্রোচন্ডো) |
ঈ/ঊ | ই/উ | ঈদ (ইদ্), কটূক্তি (কোটুক্তি), নারী (নারি) |
য | জ | যখন (জখোন্), কার্য (কার্জো), যজ্ঞ (জোগ্গোঁ) |
ষ | শ | ষড় (শড়ো), ষষ্ঠ (শশ্ঠো), ষোড়শ (শোড়োশ্) |
S | স | শ্রেণি (স্রেনি), শ্রোতা (স্রোতা), শ্রাবণ (স্রাবোন্) |
Sh | শ | মসলা (মশ্লা), সাজা (শাজা), সাক্ষাৎ (শাক্খাত্) |
হ্য | জ্ঝো | দাহ্য (দাজ্ঝো), সহ্য (শোজ্ঝো), বাহ্য (বাজ্ঝো) |
জ্ঞা (১ম বর্ণ) | গ্যাঁ | জ্ঞান (গ্যাঁন্), জ্ঞাত (গ্যাঁতো) |
জ্ঞা (শব্দের মধ্যে) | গ্গ্যাঁ | বিজ্ঞান (বিগ্গ্যাঁন্), অজ্ঞ (অগ্গোঁ) |
জ্ঞা (শব্দের শেষে) | গ্গাঁ | প্রজ্ঞা (প্রোগ্গাঁ), আজ্ঞা (আগ্গাঁ) |
ঠ্য | ট্ঠো | পাঠ্য (পাট্ঠো) |
ধ্য | দ্ধো | অধ্যক্ষ (ওদ্ধোক্খো), অধ্যায় (ওদ্ধায়্) |
ক্ষ (শব্দের শুরুতে) | খ | ক্ষয় (খয়্), ক্ষীণ (খিন্), ক্ষয়িষ্ণু (খোয়িশ্নু) |
ক্ষ (শব্দের মধ্যে বা শেষে) | ক্খো | কক্ষ (কোক্খো), শিক্ষা (শিক্খা), অক্ষর (ওক্খোর্) |
র-ফলা বা ঋ-কার (শব্দের মধ্যে/শেষে) | দ্বিত্ব | পরিশ্রম (পোরিস্স্রোম্), মসৃণ (মোস্সৃন্) |
ঙ | ং | প্রঙ্গণ (প্রাংগন্), ভঙ্গি (ভোংগি) |
ঃ (শব্দের শেষে) | হ | বাঃ (বাহ), উঃ (উহ) |
ঃ (শব্দের মধ্যে) | দ্বিত্ব | দুঃখ (দুক্খো), দুঃসাহস (দুশ্শাহোশ্) |
ঐ | ওই | ঐকিক (ওইকিক্), ঐশ্বর্য (ওইশ্শোর্জো) |
ঔ | ওউ | ঔষধি (ওউশোধি) |
- ১. উদাহরণসহ ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. শব্দের আদিতে যদি ‘অ’ বর্ণটি না-বোধক অর্থ দেয় তাহলে ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- অনাশ্রিত (অনাস্স্রিতো), অমর (অমর্), অনিয়ম (অনিয়োম্) ইত্যাদি।
খ. শব্দের আদিতে যদি ‘অ’ ধ্বনির পর ‘অ’ বা ‘আ’ ধ্বনি থাকে তাহলে ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- কথা (কথা), সবাই (শবাই) ইত্যাদি।
গ. অনেক সময় পূর্বস্বরের সাথে মিল রেখে স্বরসঙ্গতির কারণে ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- পতঙ্গ (পতংগো), স্বজন (শজন্), সময় (শময়্) ইত্যাদি।
ঘ. অ-স্বরধ্বনিযুক্ত একাক্ষর শব্দে অ-এর উচ্চারণ বিবৃত হয়। যেমন- নদ (নদ্), টব (টব্), রব (রব্) ইত্যাদি।
ঙ. ‘স’ বা ‘সম’ উপসর্গযুক্ত অ-ধ্বনি বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- সজীব (শজিব্), সমর্থন (শমর্থোন্) ইত্যাদি। - ২. ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. ‘অ’ ধ্বনির পর যদি য-ফলা হয়, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- অদ্য (ওদ্দো), অন্য (ওন্নো) ইত্যাদি।
খ. ‘অ’ ধ্বনির পর যদি ক্ষ বা জ্ঞ হয়, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- কক্ষ (কোক্খো), যজ্ঞ (জোগ্গোঁ) ইত্যাদি।
গ. ‘অ’ ধ্বনির পর যদি ঋ-কার হয়, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- মসৃণ (মোস্সৃন্), যকৃৎ (জোক্কৃত্) ইত্যাদি।
ঘ. ‘অ’ ধ্বনির পর ই বা উ (হ্রস্ব/ দীর্ঘ) হয়, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- অতি (ওতি), অধীন (ওধিন্), মসুর (মোশুর্) ইত্যাদি।
ঙ. শব্দের প্রথমে ‘অ’ ধ্বনি যদি ‘র’ ( ্র)-ফলা যুক্ত হলে, সেক্ষেত্রে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- শ্রম (শ্রোম্), ভ্রম (ভ্রোম্) ইত্যাদি। - ৩. আদ্য ‘অ’ ধ্বনি পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. আদ্য ‘অ’ ধ্বনির পর যদি ‘ই’, ‘ঈ’ বা ‘উ’, ‘ঊ’-কার থাকে, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- নদী (নোদি), ময়ুর (মোয়ুর্) ইত্যাদি।
খ. আদ্য ‘অ’ ধ্বনির পর যদি য-ফলা থাকে, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- অদ্য (ওদ্দো), কন্যা (কোন্না) ইত্যাদি।
গ. আদ্য ‘অ’ ধ্বনির পর যদি ক্ষ থাকে, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- রক্ষা (রোক্খা), দক্ষ (দোক্খো) ইত্যাদি।
ঘ. আদ্য ‘অ’ ধ্বনি যদি না-বোধক অর্থ দেয়, তাহলে ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- অনাশ্রিত (অনাস্স্রিতো), অমর (অমর্), অনিয়ম (অনিয়োম্) ইত্যাদি।
ঙ. আদ্য অ-ধ্বনিতে র-ফলা যুক্ত হলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- প্রহার (প্রোহার্), গ্রহ (গ্রোহো) ইত্যাদি। - ৪. অন্ত ‘অ’ ধ্বনির পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. শব্দের শেষের ‘অ’ ধ্বনিতে যুক্তবর্ণ হলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- বিশ্ব (বিশ্শো), কর্ম (কর্মো) ইত্যাদি।
খ. শব্দের শেষে ‘হ’ থাকলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- বিবাহ (বিবাহো), দেহ (দেহো) ইত্যাদি।
গ. শব্দের শেষে ‘অ’ ধ্বনির পূর্বে ‘র’-ফলা বা ‘ঋ’ কার হলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- মৃত (ম্রিতো), বিকৃত (বিক্কৃতো) ইত্যাদি।
ঘ. ‘ত’ বা ‘ইত’ প্রত্যয়যোগে গঠিত বিশেষণের শেষে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- নত (নতো), যত (জতো), রক্ষিত (রোক্খিতো) ইত্যাদি।
ঙ. শব্দের শেষে ‘অ’ ধ্বনির পূর্বে ‘ং’ হলে ‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- ধ্বংস (ধঙশো), অংশ (অঙশো) ইত্যাদি। - ৫. ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ?
(এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ কেবল শব্দের শুরুতেই পাওয়া যায়।)
ক. দুই অক্ষর বিশিষ্ট সর্বনাম ও অব্যয় পদে এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- এত (অ্যাতো), কেন (ক্যানো), এখন (অ্যাখন্) ইত্যাদি।
খ. ‘এ’ ধ্বনির পর যদি ‘ং’/ ঁ থাকে তবে এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- চ্যাংড়া (চ্যাংড়া), স্যাঁতসেঁতে (শ্যাঁত্শেঁতে) ইত্যাদি।
গ. খাঁটি বাংলা শব্দে ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- তেলাপোকা (ত্যালাপোকা), খ্যামটা (খ্যাম্টা), ল্যাংড়া (ল্যাংড়া) ইত্যাদি।
ঘ. এক, এগার, তের- সংখ্যাবাচক শব্দে এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- এগার (অ্যাগারো), তের (ত্যারো) ইত্যাদি।
ঙ. বর্তমান কালের ক্রিয়াপদের তুচ্ছার্থ প্রকাশে ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- দেখ (দ্যাখ্), লেখ (ল্যাখ্) ইত্যাদি। - ৬. ‘এ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. পদের শেষে ‘এ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- পথে (পথে), দোষে (দোশে) ইত্যাদি।
খ. একাক্ষর বিশিষ্ট সর্বনাম পদের ক্ষেত্রে এ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- কে (কে), সে (শে) ইত্যাদি।
গ. এ ধ্বনির পর ‘হ’ বা যুক্তবর্ণ থাকলে এ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- দেহ (দেহো), কেষ্ট (কেশ্টো)।
ঘ. এ ধ্বনির পর ‘ই’/ ‘উ’ থাকলে এ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ হয়। যেমন- দেবী (দেবি), বেলুন (বেলুন্) ইত্যাদি।
ঙ. তৎসম শব্দে ‘এ’ ধ্বনি সংবৃত হয়। যেমন- দেশ (দেশ্), প্রেম (প্রেম্) ইত্যাদি। - ৭. ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. শব্দের শুরুতে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন- শ্মশান (শঁশান্), স্মৃতি (সৃঁতি) ইত্যাদি।
খ. শব্দের মাঝে ম-ফলা যুক্ত হলে তার উচ্চারণ দ্বিত্ব হয়। যেমন- বিষ্ময় (বিশ্শঁয়্), কষ্মিন (কোশ্শিঁন্) ইত্যাদি।
গ. শব্দের শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে তার উচ্চারণ দ্বিত্ব হয়। যেমন- গ্রীষ্ম (গ্রিশ্শোঁ), পদ্ম (পদ্দোঁ) ইত্যাদি।
ঘ. গ, ঙ, ণ, ন, ল, ম- এর সাথে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-ফলার উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন- যুগ্ম (জুগ্মো), বাঙ্ময় (বাংময়্), উন্মেষ (উন্মেশ্)), হিরণ্ময় (হিরন্ময়), বাল্মীকি (বাল্মিকি), আম্মু (আম্মু) ইত্যাদি।
ঙ. যুক্তব্যঞ্জনের সাথে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন- যক্ষ্মা (জক্খা), লক্ষ্মণ (লক্খোন্)। - ৮. ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. শব্দের শুরুতে ব-ফলা যুক্ত হলে তার উচ্চারণ হয় না। যেমন- স্বাধীন (শাধিন্), স্বার্থ (শার্থো) ইত্যাদি।
খ. শব্দের মধ্য বা শেষে ব-ফলার দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন- বিদ্বান (বিদ্দান্), অশ্ব (অশ্শো) ইত্যাদি।
গ. সন্ধিজাত শব্দে ব-ফলার উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন- দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়্), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়্) ইত্যাদি।
ঘ. ‘উৎ’ উপসর্গের সাথে ব-ফলার উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন- উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বিগ্ন (উদ্বিগ্নো) ইত্যাদি।
ঙ. ব ও ম- এর সাথে ব-ফলার উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন- তিব্বত (তিব্বত্), ডিম্বাণু (ডিম্বানু) ইত্যাদি। - ৯. য-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ?
ক. য-ফলার পর ব্যঞ্জনবর্ণ বা অ, আ, ও প্রভৃতি স্বরধ্বনি থাকলে য-ফলার উচ্চারণ ‘অ্যা’-এর মতো হয়। যেমন- ব্যবহার্য (ব্যাবোহার্জো), ন্যস্ত (ন্যাস্তো)।
খ. য-ফলার পর ‘ই’ ধ্বনি থাকলে য-ফলার উচ্চারণ ‘এ’-র মতো হয়। যেমন- ব্যক্তি (বেক্তি), ব্যতীত (বেতিতো), ব্যতিক্রম (বেতিক্ক্রোম্), ব্যতিহার (বেতিহার্) ইত্যাদি।
গ. শব্দের মাঝে বা শেষে য-ফলা হলে তার উচ্চারণ দ্বিত্ব হয়। যেমন- বিদ্যা (বিদ্দা), সত্য (শোত্তো) ইত্যাদি।
ঘ. শব্দের প্রথমে য-ফলার সাথে ‘উ’ ধ্বনি উচ্চারিত হলে য-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন- ন্যূনতম (নুনোতমো), দ্যুতি (দুতি) ইত্যাদি।
ঙ. ‘হ’ এর পর য-ফলা থাকলে তার উচ্চারণ ‘জঝ’ এর মত হয়। যেমন- সহ্য (শোজ্ঝো ), বাহ্য (বাজ্ঝো) ইত্যাদি। - ১০. উদাহরণসহ উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ।
ক. ‘ং’ থাকলে উচ্চারণের সময় ‘ঙ’ দিয়ে লিখতে হয়। যেমন- অংশ (অঙশো)।
খ. শব্দের মধ্যে বিসর্গ উচ্চারণের ক্ষেত্রে সাধারণত দ্বিত্ব হয়। যেমন- অতঃপর (অতোপ্পর্), দুঃসাহস (দুশ্শাহোশ্) ইত্যাদি।
গ. শব্দের মধ্যে বা শেষে র-ফলা বা ঋ-কারের ক্ষেত্রে সাধারণত দ্বিত্ব হয়। যেমন- পুত্র (পুত্ত্রো), ভ্রাতৃত্ব (ভ্রাত্তৃত্তো), নেত্র (নেত্ত্রো)
ঘ. ঞ এর সাথে চ-ছ-জ-ঝ যুক্ত হলে ঞ-এর উচ্চারণ ন-এর মতো হবে। যেমন- রঞ্জিত (রোন্জিতো), চঞ্চল (চন্চল)।
ঙ. ‘আন’ প্রত্যয়ের ক্ষেত্রে ‘ও’ উচ্চারিত হয়। যেমন- করান (করানো), দেখান (দ্যাখানো)।
পরীক্ষায় আসার মতো গুরুত্বপূর্ণ শব্দের উচ্চারণ
মন (মোন্) | বন (বোন্) | উদ্যত (উদ্দতো) |
---|---|---|
বনভোজন (বোন্ভোজোন্) | অকৃতজ্ঞ (অকৃতগ্গোঁ) | অধ্যক্ষ (ওদ্ধোক্খো) |
মর্যাদা (মোরজাদা) | অতঃপর (অতোপ্পর্) | আহ্বান (আওভান্) |
বিজ্ঞপ্তি (বিগ্গোঁপ্তি) | মুক্তিযুদ্ধ (মুক্তিজুদ্ধো) | আহ্লাদ (আল্হাদ্) |
অধ্যাপক (ওদ্ধাপক্) | অপরাহ্ণ (অপরান্হো) | ঐকমত্য (ওইকোমোত্তো) |
তীক্ষ্ণ (তিখ্নো) | অকস্মাৎ (অকোশ্শাঁত্) | বিদ্রোহ (বিদ্দ্রোহো) |
সহ্য (শোজ্ঝো) | একতা (একোতা) | সন্ত্রস্ত (শন্ত্রোস্তো) |
পাঠ্যক্রম (পাট্ঠোক্ক্রোম্) | যথাযোগ্য (জথাজোগ্গো) | উৎকৃষ্ট (উত্কৃশ্টো) |
একাডেমি (অ্যাকাডেমি) | যকৃৎ (জক্কৃত্) | সম্মান (শম্মান্) |
আবৃত্তি (আবৃত্তি) | উত্থাপন (উত্থাপন্) | ব্যাখ্যা (ব্যাক্খা) |
পদ্ম (পদ্দোঁ) | চট্টগ্রাম (চট্টোগ্রাম্) | চিহ্নিত (চিন্হিতো) |
স্মর্তব্য (শঁর্তোব্বো) | লিখন (লিখন্) | তন্ময় (তন্ময়্) |
প্রজ্ঞাপন (প্রোগ্গ্যাঁপন্) | ছদ্মবেশ (ছদ্দোঁবেশ্) | প্রায়শ্চিত্ত (প্রায়োশ্চিত্তো) |
হৃদয় (হৃদয়্) | স্বাগত (শাগতো) | অভ্যাগত (ওব্ভাগতো) |
ঋগবেদ (রিগ্বেদ্) | বিজ্ঞান (বিগ্গ্যাঁন্) | গঞ্জনা (গন্জোনা) |
চক্রবর্তী (চক্ক্রোবোর্তি) | প্রাসঙ্গিক (প্রাশোংগিক্) | কিংকর্তব্যবিমূঢ় (কিঙকর্তোব্বোবিমুঢ়ো) |
নিঃস্পৃহ (নিস্পৃহো) | জিহ্বা (জিউভা) | পয়ঃপ্রণালি (পয়োপ্প্রোনালি) |
প্রেক্ষিত (প্রেক্খিতো) | ভ্রাতুষ্পুত্র (ভ্রাতুশ্পুত্ত্রো) | ঔপনিবেশিক (ওউপোনিবেশিক্) |
দৌহিত্র (দোউহিত্ত্রো) | বিন্যস্ত (বিন্নস্তো) | কক্ষচ্যুত (কোক্খোচ্চুতো) |
পনেরো (পোনেরো) | পদ্মাসন (পদ্দাঁশোন্) | বাহ্যজগৎ (বাজ্ঝোজগোত্) |
ভগ্নী (ভোগ্নি) | কুম্ভিলক (কুম্ভিলক্) | যাবজ্জীবন (জাবোজ্জিবন্) |
গঠিত (গঠিতো) | গৃহস্বামী (গৃহোশ্শামি) | কুব্জ (কুব্জো) |
নিঃস্ব (নিশ্শো) | প্রাতঃস্নান (প্রাতোস্স্নান্) | পরামর্শ (পরামর্শো) |
অক্ষ (ওক্খো) | ত্রয়োদশ (ত্রয়োদশ্) | পর্যন্ত (পোর্জোন্তো) |
মতি (মোতি) | নক্ষত্র (নোক্খোত্ত্রো) | ক্রম (ক্রোম্) |
শব্দ (শব্দো) | লঙ্ঘন (লংঘোন্) | মনঃক্ষুণ্ন (মোনোক্খুন্নো) |
দুঃখ (দুক্খো) | মঙ্গল (মোংগোল্) | ঐশ্বর্য (ওইশ্শোর্জো) |
প্রাঙ্গণ (প্রাংগন্) | ক্ষয়িষ্ণু (খোয়িশ্নু) | মসলা (মশ্লা) |
প্রচণ্ড (প্রোচন্ডো) | সহস্র (শহোস্স্রো) | ন্যায্য (ন্যাজ্জো) |
প্রাক্তন (প্রাক্তন্) | পাঙাশ (পাঙাশ্) | স্বাধীনতা (শাধিনতা) |
একটা (অ্যাক্টা) | একটি (এক্টি) | ফলপ্রসূ (ফলোপ্প্রোশু) |
- আরও পড়ুন : বাংলা বানানের নিয়মাবলি
- লেখাগুলো শীট আকারে পেতে অর্ডার করুন : HSC বাংলা শীট
আমি প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম গুলো পেতে চাই। উচ্চারণের নিয়ম সবগুলোই থাকতে হবে
এগুলোই। আরও কিছু আছে যা বাংলা একাডেমির অভিধানে পাবেন।
Onek dhonnobad eksathe shob gulo deyar jonno 💗
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
Sir ভাব সমপ্রসারণের আর আবেদন পত্র এর কিছু suggestion dile valo হতো ।
এগুলো কম পড়ে না সাধারণত। একটা আইডিয়া নিয়ে যান।
অনেক অনেক ধন্যবাদ,স্যার ।
ধন্যবাদ। বন্ধুদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।
”উচ্চারনের নিয়ম” ছাড়া বাকি অন্যান্য প্রশ্নগুলো কোথায় পাবো। বাকি নোটগুলোর লিংক খুজে পাচ্ছিনা। আমি 23 ব্যাচ। আপনার ক্লাস+ এখানের নোট দেখছি।
গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলো এখানে আছে। এছাড়াও আমাদের বইতে পাবেন।
https://www.facebook.com/salahuddinaiuby.frenzy/posts/pfbid0F9fFe8yBEy2ND217rXeVktpSo2qkfhvnx8m7GgXKPAy1f5vX9pLmnpVnQV72TsXTl
দেখান ভাই
এখানে আছে তো
ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ। অন্যদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।
Amazing
ধন্যবাদ। অন্যদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।
Hi,Vai egular Kono class ase?
ইউটিউবে আছে
Youtube apnar class pawa jbe
জি।
Sir
How I can buy this book
অর্ডার করুন- 01921122611
Sir , KLK AMADER BANGLA 2ND PAPER EXAM. AMDR JONNO DOYA KORBEN…APNAK ONK ONK DHONNOBAD..
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া রচনার তো কোনো সাজেশন দিলেন না? দিলে ভালো হয়।
এটা তো রচনার টপিক না
কখন ঙ হবে আর কখন ং হবে??
বিভক্তি তাকলে ঙ হবে
শুধু কি এই 47টা পড়লে কমন পড়বে টেস্টের জন্য??
জি