আলিবর্দি খাঁ :বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব। প্রকৃত নামমির্জা মুহাম্মদ আলী।১৭৪০-১৭৫৬ সাল পর্যন্ত বাংলার নবাব ছিলেন।সিরাজদ্দৌলার নানা।
আমিনা বেগম :নবাব আলিবর্দী খাঁর কনিষ্ঠা কন্যা। তাঁর তিন সন্তান। সিরাজউদ্দৌলা, একরামউদ্দৌলা ও মির্জা হামদি। নাটকেরমমতাময়ী চরিত্র।
রাইসুুল জুহালা :রাজারাম সিংহের ছোট ভাই নারান সিং। সিরাজের প্রধান গুপ্তচর। ক্লাইভের নির্দেশে তাঁকে গুলি করা হয়। “উঁমিচাদের চিঠি ক্লাইভের কাছে দিতে গেলে ক্লাইভ তাকে গুপ্তচর কিনা জানতে চায়। সে ভুলে শব্দটি ‘ঘুফুৎচোর’ শুনে ও প্রতিবাদে ক্লাইভকে বলে- ইউ শাট আপ। সাথে সাথে ক্লাইভ তারগর্দান নিতে চায়।’ “সন্দেহ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ; কিন্তু বেশি সন্দেহে বুদ্ধি ঘুলিয়ে যেতে পারে।” এ দেশে থেকে এ দেশকে ভালোবেসেছি। গুপ্তচরের কাজ করেছি দেশের স্বাধীনতার খাতিরে।সে কি বেইমানির চেয়ে খারাপ?…তবু ভয় নেই, সিরাজউদ্দৌলা বেঁচে আছে।”
সিরাজউদ্দৌলা :নাটকের প্রধান চরিত্র। পিতা জয়নুদ্দিন ও মাতা আমিনা বেগমের জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৭৩৩ সালে জন্ম ও ১৭৫৬ সালে সিংহাসেন বসেন।১৭৫৬ সালেকলকাতারফোর্ট উইলিয়ামদুর্গ আক্রমণ করেন। কলকাতার নাম পরিবর্তন করে রাখেন‘আলিনগর’। শওকতজঙ্গের বিশাল হারেম তাকে পালন করতে হয়। সিরাজকে বন্দী করে মুর্শিদাবাদে আনা হলেমোহাম্মদী বেগতাঁকে১০ হাজার টাকাচুক্তির বিনিময়েজাফরগঞ্জের কয়েদখানায়হত্যা করে। সিরাজের উপাধি :নবাব মনসুর-উল-মুলুক সিরাজউদ্দৌলা শাহকুলি খাঁ মির্জা মুহম্মদ হায়তজঙ্গ বাহাদুর। “ঘরের লোক অবিশ্বাসী হলে বাইরের লোকের পক্ষে সব করাই সম্ভব’ তোমার খুব কাছাকাছি বহুদিন আসতে পারি না। আমাদের মাঝখানে একটি রাজত্বের দেয়াল। মাঝে মাঝে ভেবেছি, যদি এই বাধা দূর হয়ে যেত। আজ আমার ভরসা আমার সেনাবাহিনী শক্তিতে নয়, মোহনলাল। আমার একমাত্র ভরসা আগামীকাল যুদ্ধক্ষেত্রে বাংলার স্বাধীনতা মুছে যাওয়ার সূচনা দেখে মিরজাফর, রায়দুর্লভ…. মনে যদি দেশপ্রীতি জেগে ওঠে সেই সম্ভাবনাটুকু। ওই একটি পথ সিপাহসালার-দেশের কল্যাণ, শুধু এই একটি পথেই আবার আমরা উভয়ে উভয়ের কাছাকাছি আসতে পারি {মিরজাফরের প্রতি} ‘প্রাণের ভয়ে আমি পালাইনি’।”
লুৎফুন্নেসা :নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী। মির্জাইরিচ খানেরকন্যা। মিরন তাকে বিয়ে করতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, “আমি চিরকাল হাতির পিঠে চড়ে বেরিয়েছি, সেই আমি কি করে এক গাধার পিঠে চড়ে বেড়াব।”সিরাজকে বন্দী করে মুর্শিদাবাদে হয় এবং লুৎফাকে আনা হয় ঢাকায়।
মোহনলাল :নবাবের একজন বিশ্বস্ত সেনাপতি। শওকতজঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সিরাজ তাঁকে দেওয়ানখানার পেশকার বানিয়েছিলেন। পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান নি। ক্লাইভের আদেশে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর বিখ্যাত উক্তি, “আমার শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই।”
মির মর্দান :একজন কৌশলী যোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক সেনাপতি। নবাবের সবচেয়েবেশি বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিছিলেন। তাঁকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি সৈনিক বলা হয়েছে। পলাশির প্রান্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর বিখ্যাত উক্তি, “ইংরেজদের ঘায়েল করতে মোহনলাল, সাঁফ্রে আর আমার বাহিনীই যথেষ্ট। আমার প্রাণ থাকতে নবাবের কোনো ক্ষতি হবে না।”
নিপীড়িত ব্যক্তি :লবণ বিক্রি না করায় কুঠির লোকজন তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। তার গর্ভবতী স্ত্রীর উপর ইংরেজরা শারীরিক নির্যাতন করে ও খুন করে ফেলে।
সিরাজের বিপক্ষ চরিত্রসমূহ
ঘসেটি বেগম :নবাব আলিবর্দী খাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা। তার প্রকৃত নামমেহেরুন্নেসা। সিরাজকে ক্ষমতাচ্যূত করতে অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন। তবে তিনি সিরাজের নজরবন্দি ছিলেন।
ওয়ালি খান :১৭৫৬ সালে ক্যাপ্টেন ক্লেটনকে যুদ্ধ বন্ধ করার অনুরোধ করে। ইংরেজদের হয়ে যুদ্ধ করেছে কোম্পানির টাকার জন্য। তার বিখ্যাত উক্তি‘বাঙালি কাপুরুষ নয়।’
ক্লেটন :১৭৫৬ সালে কলকাতা দুর্গ আক্রমণের সময় বাঙালি সৈন্যদের সিরাজের বিরুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেন।
মিরন :মির জাফরের পুত্র। মোহনলালের গুপ্তচর তার জীবন অতিষ্ট করে ফেলে। তার আদেশে সিরাজ ও তার ভাই মির্জা হামদিকে হত্যা করা হয়। সিরাজ মির জাফরের মুত্যুদণ্ডাদেশ দেখতে চাইলে মিরন উক্তি করে,“আসামির আবার সে অধিকার থাকে নাকি?”
মির জাফর :প্রকৃত নাম জাফর আলি খান। সিরাজের প্রধান সেনাপতি।পারস্যথেকে নিঃস্ব অবস্থায় হিন্দুস্থান এসেছিল।একদিনের জন্য হলেও মসনদে বসার স্বপ্ন দেখত।সিরাজ তাকে সন্দেহ করলে কুরআন ছুঁয়ে দেশের পক্ষে থাকার শপথ নেয়। পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধ বন্ধের আদেশ দেয়। সিরাজের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসে। ১৭৬৫ সালে মির জাফরকুষ্ঠরোগেমারা যায়। ‘আমাদের কারও অদৃষ্ট মেঘমুক্ত থাকবে না শেঠজি’।সবাই মিলে আমরা বাংলাদেশকে বিক্রী করে দিচ্ছি না তো?
রায়দুর্লভ :বিহারের ডেপুটি গভর্নর জানকীরামের ছেলে রায়দুর্লভ। সে ছিল উড়িষ্যার পেশকার। পরে দেওয়ানিপ্রাপ্ত হয়। সিরাজের সাথে বিরোধ থাকায় তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয় নি। ষড়যন্ত্রের পূর্বে গোপন মন্ত্রণায়একরারনামায় সই চায়।ছদ্মবেশে মিরনের দরবারে প্রবেশ করে। মাসে মাসে জগৎশেঠের থেকে টাকা নিয়ে চলে। সিরাজের পতনের পর তাকেসেনাপতির পদদেওয়া হবে এই লোভ দেখায় মিরন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মিরন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। নবাবের দরবারে অসহায় ব্যক্তিকে দেখে ‘তরবারি কোষবদ্ধ’ করেন।
রাজবল্লভ :বিক্রমপুরের বাঙালিবৈদ্য সম্প্রদায়েরলোক ছিল। ঢাকায় জাহাজি ফৌজ বিভাগের কেরানি ও পরে গভর্নরের পেশকার হয়। ঘসেটি বেগমের স্বামী নওয়াজিশ মোহাম্মদ গভর্নর থাকা অবস্থায় রাজবল্লভ ‘রাজা’ উপাধি পায়। হোসেন কুলি খাঁর পর সে ঢাকার দেওয়ান হয় এবং ঢাকার শাসনকার্য পরিচালনা করাবস্থায় নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। সিরাজ তাকে সন্দেহ করলেতুলসী পাতা ছুঁয়েদেশের পক্ষে থাকার শপথ করে। মোহনলাল তলোয়ার খুলে সামনে দাঁড়ায় তার চোখেকেয়ামতের ছবি ভেসে উঠে।তার মতে নবাবের রাজভাণ্ডার লুট করলে ৩ কোটি টাকার বেশি পাওয়া যাবে না।
জগৎশেঠ :তার আসল নাম‘ফতেহ চাঁদ’।সে ছিল মানিকচাঁদের ভ্রাতুষ্পুত্র। ‘জগৎশেঠ’ কোনো নাম নয় বরংউপাধিমাত্র যা ১৭৪৪ সালে তাকে দেয়া হয়। তৎকালীন বিখ্যাতধনী ব্যক্তিত্ব।যুদ্ধের পুরো খরচ বহন করে। ষড়যন্ত্রের পূর্বে নিজের স্বার্থ সম্পর্কে নিশ্চয়তা চান। শওকতজঙ্গ সম্পর্কে তার উক্তি- “শওকতজঙ্গ নিতান্তই অকর্মণ্য। ভাঙের গেলাস ও নাচনেওয়ালি ছাড়া সে কিছুই জানে না। শওকতজঙ্গ নবাব হবেন নামমাত্র।আসল কর্তৃত্বথাকবেঘসেটি বেগমেরআর তার নামে দেশ শাসন করবেরাজবল্লভ।”
মানিকচাঁদ :১৭৫৬ সালে কলকাতা দুর্গ দখলের পর সিরাজ তাকেআলিনগরের দেওয়াননিযুক্ত করেন। ষড়যন্ত্রের কারণে সিরাজ তাকে কারাগারে পাঠান ও ১০ লাখ টাকা মুচলেকার মাধ্যমে মুক্তি দেন। রাজবল্লভের মতে তার মুক্তির মূল্য ৫০ কোটি টাকার কম না।
হলওয়েল : প্রকৃত নাম‘জন জেফনিয়া’। উপাধি ‘সার্জন’। কোম্পানিরঘুষখোর ডাক্তার।তিনি ক্লেটনকে নবাবের কাছে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেন।‘দুর্গ প্রাকারে সাদা পতাকা ওড়াও’।
মোহাম্মদী বেগ :সিরাজের হত্যাকারী। ১০ হাজার টাকার লোভে মিরনের প্ররোচনায় সে নবাবকে খুন করে। নবাব তার কাছে দুই রাকাত নামায পড়ার সময় চাইলে সে লাঠি দিয়ে নবাবকে ফেলে দেয় ও ছুরির আঘাতে হত্যা করে। অথচ নবাবের পিতা তাকেআপন সন্তানের মত লালন করেনএবং নবাবের মাতা হৈ চৈ করে তার বিয়ে দেন। নাটকের সবচেয়েজঘন্য চরিত্র।
ওয়াটস :ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষ থেকে কাশিমবাজার কুঠির পরিচালক। আলিনগর সন্ধি অনুসারে সে ছিল নবাবের দরবারে ইংরেজ প্রতিনিধি। পলাশীর যুদ্ধের পর কোম্পানি তাকে বরখাস্ত করে। ক্লাইভ ও ওয়াটস নবাবের ইচ্ছার বিরুদ্ধেনন্দকুমারকে ঘুষখাইয়েচন্দননগরধ্বংস করে।‘আমরা এদেশে বাণিজ্য করতে এসেছি। রাজনীতি আমরা কেন করব।’
উমিচাঁদ :নাটকেদ্বৈত আচরণকারীখল চরিত্র। কলকাতা অভিযানের পর সিরাজ তাকে মুক্তি দেয়। নিজেকে ইংরেজদের খাদেম ও দৌলতের পূজারি বলে পরিচয় দেয়। নিজ থেকে সে ইংরেজদের সহায়তা করার প্রস্তাব দেয়। পাঁচ হাজার টাকা নিজের জন্য ও ১২ হাজার টাকা মানিকচাঁদের তহবিলে দেওয়ার শর্তে সে মানিকচাঁদকে হাত করে নেয়। জন্মগতভাবে সে ছিললাহোরের অধিবাসীশিখ সম্প্রদায়ের লোক।সে উভয় পক্ষেই তথ্য আদান-প্রদান করত।পলাশির যুদ্ধে জয়লাভ করলে ইংরেজদের থেকে ৩০ লাখ টাকা চায়। যার ফলে ক্লাইভ দুটো চুক্তি করে। রায়দুর্লভ তাকে বলেছে‘জাহেল মূর্খ’। ড্রেক বলেছে‘এ যুগের বিশ্বাসঘাতক’। আর মিরজাফর বলেছে ‘কালকেউটে’। তার সম্পর্কে ড্রেকের উক্তি ‘এ পারফেক্ট স্কাউন্ড্রেলইজ দিস উঁমিচাদ’। তার বিখ্যাত উক্তি,“আপনারা সরশুদ্ধ দুধ খেয়েও গোঁফ শুকনো রাখেন, আর আমি দুধের হাড়ির কাছে যেতে না যেতেই হাড়ির কালি মেখে গুলবাঘা মনে যাই”…“দওলত আমার কাছে ভগবানের দাদা মশায়ের চেয়েও বড়।”
ড্রেক :ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কলকাতার ইংরেজ গভর্নর। ১৭৫৬ সালে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ রক্ষা করার চেষ্টা করে। সিরাজ তার বাড়ি কামানের গোলায় উড়িয়ে দিতে বলেন। কৃষ্ণবল্লভকে কেন্দ্র করে নবাবকেউদ্ধত ভাষায় চিঠিদেয়।
ক্লাইভ :মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতে আসে। মিরজাফরকে বাংলার সিংহাসনে বসালেও প্রকৃত শাসনকর্তা ছিল সে। ১৭৭৪ সালে সেআত্মহত্যাকরে। নানা রকম জন্তু-জানোয়ারের আদব-কায়দা সম্পর্কে পারদর্শী। তার কূটবুদ্ধি অনুসারে উঁমিচাদের বিরুদ্ধেদুটো দলিলকরা হয়। তার উক্তি- ‘যার প্রধান সেনাপতি বিশ্বাসঘাতক, যার খাজাঞ্চি, দেওয়ান, আমির সবাই প্রতারক তার কোনো ক্ষমতা থাকে না।’…ইউ আর স্যাক্রিফাইসিং দ্যা নবাব অ্যান্ড নট কান্ট্রি।’
জর্জ :অধিনায়ক এনসাইর্ড পিকার্ডের পতনের সংবাদ দেন।
মার্টিন :ড্রেক তাদের কোম্পানিরঘুসখোর কর্মচারিবলে। ‘ঘুস খেয়ে খেয়ে ঘুষ কথাটার অর্থই বদলে গেলে আপনার {ড্রেক} কাছে। তারা কোম্পানির৭০ টাকা বেতনের কর্মচারিকিন্তু ২০ হাজার টাকার ব্যাংক-ব্যালেন্স।
শওকতজঙ্গ : সিরাজ তাকে বিদ্রোহী ঘোষণা করে।
মির মুন্সি :নওয়াবেরবিশ্বাসী লোকছিল। কিন্তু রাজবল্লভের বুদ্ধিতে সে নবাবের আসল চিঠি গোপন রেখে নকল চিঠি কোম্পানির কাছে পাঠায়।
কমর বেগ :মীর জাফরের গুপ্তচর উমর বেগের ভাই। ক্লাইভের চিঠিসহ উমর বেগ ধরা পড়ায় তাকে মোহনলালের নির্দেশে হত্যা করা হয়।
১৭৫৬ সালের যুদ্ধে যারা পালিয়ে যায় : সার্জন হলওয়েল, গভর্নর রাজার ড্রেক {রক্ষী গুলি করে}, ক্যাপ্টেন ক্লেটন {ব্রিটিশ সিংহ}, ডাচ সৈন্যরা গঙ্গার দিককার ফটক ভেঙে পালিয়ে যায়।
Go ahead…..
ধন্যবাদ আপনাকে। অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।❤️
ধন্যবাদ ভাই এইসব ভালো তথ্য দেওয়ার জন্য❤️🩹
আপনাকেও ধন্যবাদ
thanks sir
অনেক ভালো হয়েছে
Thank you vaiya
ধন্যবাদ। অন্যদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ ভাই এইসব ভালো তথ্য দেওয়ার জন্য❤️🩹
ধন্যবাদ। অন্যদের সাথে শেয়ারের অনুরোধ রইল।
খুব সুন্দর হয়েছে,,,,, এইখান থেকে পড়লে অন্য কিছু আর পড়া লাগবে না,,, 👌
ধন্যবাদ আপনাকে