বাক্য প্রকরণ ও বাক্য রূপান্তর
গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা-
সরল বাক্য (simple sentence) :
- যে বাক্যে একটি কর্তা (উদ্দেশ্য) ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন- বনে বাঘ থাকে।
**যদি একাধিক অসমাপিকা ক্রিয়া থাকে কিন্তু সমাপিকা ক্রিয়া একটি হয়, তবে তা সরল বাক্য হবে। যেমন- ব্রাহ্মণ এক গাছতলায় বসিয়া, গাছের গুড়িতে ঠেসান দিয়া, চক্ষু বুঝিয়া ডাবায় তামাকু টানিতেছে।**একাধিক প্রাসঙ্গিক কর্তা যদি সংযোজক অব্যয় দ্বারা একত্র হয়ে বাক্য গঠন করে তবে তাও সরল বাক্য হবে। যেমন- বিপদ ও দুঃখ একই সাথে আসে। {বিপদ আসলে দুঃখ আসাটা স্বাভাবিক}
**তবে একাধিক প্রাসঙ্গিক বাক্য যদি একত্র হয়, তখন তা সরল হবে না। যেমন- বিপদ আসে এবং দুঃখও আসে। (যৌগিক)
**একাধিক অপ্রাসঙ্গিক কর্তা যদি একত্র হয়ে বাক্য গঠন করে তবে তা সরল হবে না। যেমন- রহিম ও করিম খেলতে যায়। (রহিম খেলতে গেলে করিমের যেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই) জাতীয় সমস্যা
- মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেধে দেয়নি।
তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা সকিনা বিবির কপাল ভাঙল।সমাধান : বলে শব্দটির প্রকৃত অর্থ tell বা বলা। আবার কখনো কখনো ‘বলে’ শব্দটি অনুসর্গের মতো ব্যবহৃত হয়। তখন তা ‘এজন্য’ অর্থ দেয়। সুতরাং
ক. বলে শব্দ দ্বারা যদি tell বুঝায় তবে তা সরল বাক্য হবে। যেমন- এই কথা বলিয়া কানাই বাঁশি হাতে নিল। তুমি যাবে বলে এখন যাচ্ছ না কেন? তুমি বলায় আমি আসছি।
খ. যদি সমাপিকা ক্রিয়ার পর ‘বলে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে ‘এজন্য’ অর্থ দেয়, তবে তা জটিল বাক্য। যেমন- মা ছিল না বলে (এজন্য) কেউ তার চুল বেধে দেয়নি।
তুমি আসবে বলে (এজন্য) হে স্বাধীনতা সকিনা বিবির কপাল ভাঙল। ২. যৌগিক (compound sentence)-
- দুই ততোধিক স্বাধীন সমাপিকা ক্রিয়া একত্র হয়ে যে বাক্য গঠন করে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যৌগিক বাক্য চারটি উপায়ে যৌগিক বাক্য গঠিত হতে পারে। যথা-
ক. সরল+ সরল = তুমি খেলতে যাও, আমি আসছি।
খ. সরল+ জটিল = আমি শহরে যাব; তোমার যদি কোনো প্রয়োজন থাকে তবে বল।
গ. জটিল+ সরল = রফিকের বাবা যখন মুক্তিযুদ্ধে যায় তখন আমি সাথে ছিলাম কিন্তু রফিক এতদিন তা জানত না।
ঘ. জটিল+ জটিল = যে অলস সে দুর্ভাগা আর যে দুর্ভাগা সে কখনও সফল হয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : যৌগিক বাক্য গঠনে অব্যয়ের (এবং, কিন্তু, বা ইত্যাদি) উল্লেখ থাকতে পারে, তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। যেমন- এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। তিনি আসছেন, দেখছেন, চলে যাচ্ছেন। চোর ঠিকই এসেছিল কিন্তু কিছু নিতে পারে নি।**হয় রওনা হও, নতুবা গাড়িতে ওঠ- জটিল বাক্য।ব্যাখ্যা : যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। এই বাক্যগুলো সাধারণত সাপেক্ষ সর্বনাম বা নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় দ্বারা গঠিত হয়।
এখানে ‘হয় রওনা হও’ আশ্রিত বাক্য এবং ‘নতুবা গাড়িতে ওঠ’ প্রধান বাক্য।**কিন্তু ‘রওনা হও, নতুবা গাড়িতে ওঠ’– এটি যৌগিক বাক্য।
এখানে প্রথম বাক্যে কোনো সাপেক্ষ সর্বনাম বা নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় নেই। - সরল থেকে যৌগিকে রূপান্তর-
সরল যৌগিক অসামাপিকা সমাপিকা হলেও, সত্ত্বেও, ও, য় কিন্তু বাক্য রূপান্তর-
**ব্রাহ্মণ এক গাছতলায় বসিয়া, গাছের গুড়িতে ঠেসান দিয়া, চক্ষু বুঝিয়া ডাবায় তামাকু টানিতেছে। (সরল)
ব্রাহ্মণ এক গাছতলায় বসেছে, গাছের গুড়িতে ঠেসান দিয়েছে, চক্ষু বুঝিয়া ডাবায় তামাকু টানিতেছে। (যৌগিক)
**ভালো খেলা সত্ত্বেও সাকিব পুরস্কার পায় নি। (সরল)
সাকিব ভালো খেলেছে কিন্তু পুরস্কার পায় নি। (যৌগিক)
**এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। (যৌগিক)
এসে দেখে জয় করলাম। (সরল)
**তুমি এসেছিলে পরশু, কাল কেন আসে নি? (যৌগিক)
তুমি পরশু আসলেও কাল কেন আসে নি। (সরল)
**আমার নাম রফিক। (সরল)
আমার একটা নাম আছে, তা হচ্ছে রফিক।
**ধনের ধর্মই অধর্ম।
ধনের একটা ধর্ম আছে, তা হচ্ছে অধর্ম।৩. জটিল : (complex sentence) :
- যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয় তাকে জটিল বাক্য বলে। জটিল বাক্যকে অনক সময় মিশ্র বাক্য বলা হয়। যেমন-
যে পরিশ্রম করে, সেই সফল হয়।
সে যে ভালো মানুষ, তা মুখ দেখলেই বুঝা যায়।
সে এমন দেখতে লাগল যেন সে অন্ধ।
যে মিথ্যে বলে সকলে তাকে ঘৃণা করে।
বারান্দা থেকে দেখলাম যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
জটিল বাক্য করার সহজ সূত্রক. যে কোনো বাক্যকে যে/ যা/ যখন/ যেখানে/ যেভাবে/ যার ইত্যাদি নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় দিয়ে পরিবর্তন করে জটিল বাক্য করা যায়। নিচে উদাহরণ দেওয়া হল। |
বিভিন্ন পদ্ধতিতে জটিল বাক্যে রূপান্তর | |
বাংলাদেশ রবিবার সন্ধ্যায় মীরপুরে ভারতের সাথে ক্রিকেট খেলবে। | যারা রবিবার সন্ধ্যায় মীরপুরে ভারতের সাথে ক্রিকেট খেলবে, তারা বাংলাদেশ। |
বাংলাদেশ যেদিন সন্ধ্যায় মীরপুরে ভারতের সাথে ক্রিকেট খেলবে, সেদিন রবিবার। | |
বাংলাদেশ রবিবার যখন মীরপুরে ভারতের সাথে ক্রিকেট খেলবে, তখন সন্ধ্যা। | |
বাংলাদেশ রবিবার সন্ধ্যায় যেখানে ভারতের সাথে ক্রিকেট খেলবে, তা মীরপুর। | |
বাংলাদেশ রবিবার সন্ধ্যায় মীরপুরে যাদের সাথে ক্রিকেট খেলবে, তারা ভারত। | |
রফিক সকালে স্কুলে যায়। | যে সকালে স্কুলে যায়, সে রফিক। |
রফিক যখন স্কুলে যায়, তখন সকাল। | |
রফিক সকালে যেখানে যায়, তা স্কুল। | |
তুমি এসেছিলে পরশু, কাল কেন আসো নি? | যদিও তুমি পরশু এসেছিলে, তবু কাল কেন আসো নি? |
- মিশ্র বাক্য : ভিন্ন জাতীয় বা সমজাতীয় সরল ও যৌগিক বা সরল ও জটিল বা যৌগিক ও যৌগিক বা যৌগিক ও জটিল কিংবা জটিল ও জটিল বাক্য যুক্ত হতে মিশ্র আকারের বৃহত্তর কোনো জটিল বা যৌগিক বাক্য সৃষ্টি করলে, তাকে মিশ্র বাক্য (Mixed Sentence) বলে। মিশ্র বাক্যের শ্রেণিবিভাগ-
- যৌগিক + সরল = জটিল : রামনাথ এই যে টাকা আনিয়াছিলেন এবং কন্যার নিষেধে সে টাকা না দিয়াই চলিয়া গিয়াছেন।, সে কথা গোপন রহিল না।
- সরল + জটিল = যৌগিক : আমরা বাড়ি এলাম আর বাবাও এলেন এক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে, যে বাবার অফিসে চাকরি করে।
- যৌগিক + যৌগিক = জটিল : আমি যে নিজেই রান্না করি এবং ভাত বেড়ে খাই, তা দাদার ভালো লাগেনা অথচ আমাকে কখনো সাহায্য করে না।
- যৌগিক + জটিল = যৌগিক : খোকাবাবু ডাক্তার লোক, কিন্তু ডাক্তারি করেন না, কলম চালানো হলো তার পেশা, যা তাকে ডাল ভাতের সংস্থানটুকু করে দেয়।
সরল | জটিল |
সুখবরটা পেয়ে সে আনন্দিত হয়েছে | যখন সে সুখবরটা পেয়েছে তখন সে আনন্দিত হয়েছে |
বিদ্বান হলেও তার অহংকার নেই | যদিও তিনি বিদ্বান তথাপি তার অহংকার নেই |
পরোপকারীকে সবাই শ্রদ্ধা করে | যিনি পরোপকারী তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে |
ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয় | যাদের ধন আছে তারা প্রায়ই কৃপণ হয় |
রাত্রি প্রভাত হলে পাখিরা গান গেয়ে ওঠে | রাত্রি যখন প্রভাত হয়, পাখিরা তখন গান গেয়ে ওঠে |
ভিক্ষুককে দান কর | যে ভিক্ষা করে তাকে দান কর |
মা না থাকায় কেউ তা চুল বেধে দেয় নি | যেহেতু মা ছিল না তাই কেউ তার চুল বেধে দেয় নি |
তোমার মনস্কামনা সফল হোক | তুমি মনে মনে যা কামনা করেছ তা সফল হোক |
সে তার পিতার ঋণ পরিশোধ করেছে | তার পিতা যে ঋণ করেছিলেন, সে তা পরিশোধ করেছে |
বনের জন্তুদের মধ্যে হাতি সবচেয়ে বড় | যেসব জন্তু বনে থাকে, তাদের মধ্যে হাতি সবচেয়ে বড় |
পুরান চাল ভাতে বাড়ে | চাল যখন পুরান হয় তখন তা ভাতে বাড়ে |
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি | যদি মানুষকে ভক্তি কর, তবে সোনার মানুষ হবে |
সারদিন কষ্ট করলেও সফল হবে না | সারাদিন যত কষ্টই করো না কেন, সফল হবে না |
সরল | যৌগিক |
তার জ্বর হওয়া সত্ত্বেও সে খেলছে | তার জ্বর হয়েছে তবু সে খেলছে |
জন্মিলে মরিতে হবে | জন্ম নিয়েছ, মরতে হবে |
ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয় | তারা ধনী কিন্ত কৃপণ |
সত্য বললে মুক্তি পাবে | সত্য বলো, মুক্তি পাবে |
তার প্রচুর সম্পদ থাকলেও সে সুখী নয় | তার প্রচুর সম্পদ আছে কিন্তু তিনি সুখী নন |
সে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষকে সব জানাল | সে কলেজে গেল এবং অধ্যক্ষকে সব জানাল |
এসে দেশে জয় করলাম | এলাম, দেখলাম, জয় করলাম |
মরতে না চাইলে ঔষধ খাও | ঔষধ খাও নতুবা মরতে হয় |
তিনি এসে দেখে চলে যাচ্ছেন | তিনি আসছেন, দেখছেন, চলে যাচ্ছেন |
যৌগিক | জটিল |
পৃথিবী গোলাকার এবং এটা আমরা প্রমাণ করতে পারি | পৃথিবী যে গোলাকার তা আমরা প্রমাণ করতে পারি |
দোষ স্বীকার কর তাহলে তোমাকে ক্ষমা করা হবে | যদি দোষ স্বীকার কর তাহলে তোমাকে ক্ষমা করা হবে |
তাড়াতাড়ি যাও নতুবা তুমি গাড়ি ধরতে পারবে না | যদি তুমি তাড়াতাড়ি না যাও তাহলে গাড়ি ধরতে পারবে না |
তার শক্তি নেই কিন্তু সাহস আছে | যদিও তার শক্তি নেই তথাপি সাহস আছে |
সাধনা কর; সিদ্ধি লাভ হবে | যদি সাধনা কর তবে সিদ্ধি লাভ হবে |
তার টাকা আছে কিন্তু সে দান করে না | যদিও তার টাকা আছে তবু সে দান করে না |
এলাম, দেখলাম, জয় করলাম | যখনি এসে দেখলাম, তখনি জয় করলাম |
সবাই এখন মোবাইলে আসক্ত। এটা এক মহামারি | যেহেতু সবাই মোবাইলে আসক্ত তাই একে মহামারি বলা যায় |
- অন্যান্য বাক্য রূপান্তর-
বাক্য | বাক্য রূপান্তর |
---|---|
ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয়। (জটিল) | যারা ধনী, তারা প্রায়ই কৃপণ হয়। |
ভয়াল শব্দে বাজ পড়ছে, এর বিরাম নেই। (সরল) | অবিরাম ভয়াল শব্দে বাজ পড়ছে। |
তারা একটি জীর্ণ কুটিরে বাস করে। (জটিল) | তারা যে কুটিরে বাস করে তা জীর্ণ। |
না গেলে দেখতে পাবে না। (যৌগিক) | যাও, নতুবা দেখতে পাবে না। |
চরিত্রহীন লোক পশুর চেয়েও অধম। (জটিল) | যে চরিত্রহীন, সে পশুর চেয়েও অধম। |
তাদের গ্রামে ফিরে যাওয়া চলে না। (প্রশ্ন) | তাদের গ্রামে ফিরে যাওয়া চলে কি? |
তারা কি যথার্থ সভ্য বলে দাবি করতে পারে? (নির্দেশ) | তারা যথার্থ সভ্য বলে দাবি করতে পারে না। |
আমি প্রশ্ন করি নি। (অস্তি) | আমি নীরব ছিলাম। |
তিনি আর এ পথ মাড়ান না। (জটিল) | যিনি এই পথ মাড়ান না, তিনি সেই ব্যক্তি। |
শিশুরা দূষণমুক্ত পরিবেশ চায়। (নেতি) | শিশুরা দূষিত পরিবেশ চায় না। |
পরোপকারেই পুণ্য লাভ হয়। (নেতি) | পরোপকার ব্যতীত পুণ্য লাভ হয় না। |
কাপুরুষরাই মৃত্যুকে ভয় করে। (নেতিবাচক) | কাপুরুষ ছাড়া অন্য কেউ মৃত্যুকে ভয় করে না। |
তাতে সমাজ জীবন চলে না। (অস্তিবাচক) | তাতে সমাজ জীবন অচল হয়ে পড়ে। |
ইচ্ছে হয় যেন আবার শৈশবে ফিরে যাই। (বিস্ময়) | আবার যদি শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম। |
সূর্য পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। (নেতি) | সূর্য পশ্চিম দিক ব্যতীত অস্ত যায় না। |
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। (জটিল) | যিনি সুশিক্ষিত তিনি স্বশিক্ষিত। |
অনেকের জীবনে প্রথমে দুঃখ আসে, পরে সুখ আসে। (সরল) | অনেকের জীবনে দুঃখের পরে সুখ আসে। |
বিদ্বান হলেও তার অহংকার নেই। (যৌগিক) | তিনি বিদ্বান কিন্তু নিরহংকার। |
মিথ্যাবাদীকে সবাই অপছন্দ করে। (নেতিবাচক) | মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না। |
দেশে শুনে পথ চলো। (যৌগিক) | দেখো, শুনো ও পথ চলো। |
এমন কেউ নেই যে সুখী হতে চায় না। (অস্তি) | সবাই সুখী হতে চায়। |
অভিজ্ঞতা না থাকলে বুঝা যায় না। (অস্তি) | অনভিজ্ঞ হলে বুঝা অসম্ভব। |
এ জন্যই তোমাকে সবাই প্রিয়ংবদা না বলে পারে না। (অস্তিবাচক) | এ জন্যই তোমাকে সবাই প্রিয়ংবদা বলে। |
বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কী, তা জানতে চাই। (প্রশ্ন) | বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কী? |
সত্য কথা না বলে বিপদে পড়েছি। (জটিল) | যেহেতু সত্য কথা বলিনি, তাই বিপদে পড়েছি। |
আমারও ইহাদের উপর স্নেহ আছে। (নেতিবাচক) | আমারও ইহাদের ওপর যে স্নেহ নেই তা নয়। |
অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করো। (প্রশ্ন) | অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত নয় কি? |
সদা সত্য কথা বলবে। (প্রশ্ন) | সদা সত্য কথা বলা উচিত নয় কি? |
গুরুজনের কথা মেনে চলো। (প্রশ্ন) | গুরুজনের কথা মেনে চলা উচিত নয় কি? |
এবার কাজে লেগে যাও। (প্রশ্ন) | এবার কাজে লেগে না গেলে চলবে কি? |
পুলিশের লোক জানিবে কি করিয়া? (নির্দেশ) | পুলিশের লোক জানিবার উপায় নেই। |
এসব কথা সে মুখে আনিতে পারিত না। (অস্তিবাচক) | এসব কথা সে মুখে আনিতে অপারগ ছিল। |
ছাত্রদের বিদ্যালয়ের সংখ্যা গণনা করা যায় না। (প্রশ্নসূচক) | ছাত্রদের বিদ্যালয়ের সংখ্যা কি গণনা করা যায়? |
তোমাকে এই কটা দিন মাত্র জানিলাম, তবু তোমার হাতেই ও রহিল। (সরল) | তোমাকে এই কটা দিন মাত্র জানা সত্ত্বেও তোমার হাতেই ও রহিল। |
পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। (জটিল) | যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে পৃথিবীতে সবকিছুই করা সম্ভব। |
সে অনেক চেষ্টা করে সাফল্য লাভ করেছে। (যৌগিক) | সে অনেক চেষ্টা করেছে এবং সাফল্য লাভ করেছে। |
এ অবস্থায় কেউ কাউকে চিনতে পারে না। (অস্তিবাচক) | এ অবস্থায় কেউ কাউকে চিনতে পারা অসম্ভব। |
যে মিথ্যা কথা বলে তাকে কেউ ভালোবাসে না। (সরল) | মিথ্যাবাদীকে কেউ ভালোবাসে না। |
কোথাও ধার পেলাম না বলে তোমার কাছে এসেছি। (সরল) | কোথাও ধার না পেয়ে তোমার কাছে এসেছি। |
যদি পাশ করতে চাও, তাহলে পড়ো। (সরল) | পাশ করতে চাইলে পড়ো। |
আমার এমন কিছু নেই, যা তোমাকে দিতে পারি। (সরল) | তোমাকে দেওয়ার মতো আমার কিছু নেই। |
গাছটি ওপড়ানোর জন্য কারও হাত কি এগিয়ে আসে?(নির্দেশাত্মক) | গাছটি ওপড়ানোর জন্য কারও হাত এগিয়ে আসে না। |
ওকে চেনাই যায় না। (অস্তি) | ওকে অচেনা মনে হয়। |
আমরা বাধা দিতে পারলাম না। (অস্তিবাচক) | আমরা বাধা দিতে অক্ষম ছিলাম। |
সরস্বতী বর দেবেন না। (প্রশ্নবোধক) | সরস্বতী বর দেবেন কি? |
মাংসাশী পশু অত্যন্ত বলবান। (জটিল) | যে সব পশু মাংশ খায় তারা অত্যন্ত বলবান। |
তিনি ধনী হয়েও সুখী ছিলেন না। (যৌগিক) | তিনি ধনী ছিলেন কিন্তু সুখী ছিলেন না। |
তিনি দরিদ্র কিন্তু সত্যবাদী। (জটিল) | যদিও তিনি দরিদ্র তথাপি তিনি সত্যবাদী। |
যারা জ্ঞানী, তারা সত্যিকার ধনী। (সরল) | জ্ঞানীরাই সত্যিকার ধনী। |
পরোপকারীকে সবাই শ্রদ্ধা করে। (যৌগিক) | তিনি পরোপকারী তাই তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে। |
জামিল বাড়িতে আছে। (নেতি) | জামিল বাড়িতে অনুপস্থিত নয়। |
পৃথিবী যে গোলাকার তা আমরা প্রমাণ করতে পারি। (যৌগিক) | পৃথিবী গোলাকার এবং তা আমরা প্রমাণ করতে পারি। |
শীতে দরিদ্র মানুষের খুব কষ্ট হয়। (বিস্ময়সূচক) | শীতে দরিদ্র মানুষের কী কষ্ট! |
সে একটু বিস্মিত না হয়ে পারে না। (অস্তিবাচক) | সে একটু বিস্মিত হতে বাধ্য হল। |
এটা নিঃসন্দেহ যে তুলসী গাছটির যত্ন নিচ্ছে কেউ। (নেতিবাচক) | সন্দেহ থাকে না যে, তুলসী গাছটির কেউ যত্ন নিচ্ছে। |
আমি যে গান গাই, তাহা যৌবনের গান (সরল) | আমি যৌবনের গান গাই। |
যার বিদ্যা আছে তিনি সর্বত্র পূজিত হন (যৌগিক) | তিনি বিদ্বান, তাই সর্বত্র পূজিত হন। |
কেহ কহিয়া দিতেছে না কিন্তু তপোবন বলে বোধ হইতেছে। (মিশ্র) | যদিও কেহ কহিয়া দিতেছে না তবুও তপোবন বলিয়া মনে হইতেছে। |
এতে দোষ নেই । (প্রশ্নবোধক ) | এতে দোষ কি? |
ভুল সকলেই করে। (প্রশ্নবোধক ) | সকলে কি ভুল করে না? |
কোথাও কি তিনি আছেন? (নেতিবাচক ) | কোথাও তিনি নেই। |
মেয়েটি অত্যন্ত সুন্দর। (বিস্ময়সূচক) | মেয়েটি কী সুন্দর! |
সকলেই মরণশীল। (নেতিবাচক ) | কেউ অমর নয়। |
পার্কে এখন কেউ নেই। (অস্তিবাচক) | পার্কে এখন সবাই অনুপস্থিত। |
লোকটি অশিক্ষিত হলেও অভদ্র নয়। (যৌগিক) | লোকটি অশিক্ষিত কিন্তু অভদ্র নয়। |
সে নিরপরাধ, অতএব সে মুক্তি পাবে। (জটিল) | যেহেতু সে নিরপরাধ, তাই সে মুক্তি পাবে। |
এত সাধনা করলাম কিন্তু তোমার মন পেলাম না। (সরল) | এত সাধনা করেও তোমার মন পেলাম না। |
সৎ লোক কখনো মিথ্যার সঙ্গে আপস করে না। (জটিল) | যারা সৎ তারা কখনো মিথ্যার সঙ্গে আপস করে না। |
শহিদের মৃত্যু নেই। (অস্তিবাচক) | শহিদেরা অমর। |
দুর্জনকে দূরে রেখো। (নির্দেশাত্মক) | দুর্জনের কাছ থেকে দূরে থাকা উচিত। |
আমি তোমাকে কিছুই দেব না। (অস্তিবাচক) | তোমাকে কিছু দেওয়া থেকে আমি বিরত থাকব। |
বাঙালির আত্মজাগরণ অভিনন্দনের দাবি রাখে। (জটিল) | যা অভিনন্দনের দাবি রাখে, তা বাঙালির আত্মজাগরণ। |
তুমি আবার এসো। (নেতিবাচক) | তুমি আবার না এলে হবে না। |
শুধু তোমার কথায় এমন কাজ করা যায় না। (প্রশ্নবোধক) | শুধু তোমার কথায় কি এমন কাজ করা যায়? |
সে আর আসবে না। (অস্তিবাচক) | সে আবার আসা থেকে বিরত থাকবে। |
সন্ধ্যার পর অন্ধকার ঘনিয়ে এল। (বিস্ময়সূচক) | কী অন্ধকার ঘনিয়ে এল সন্ধ্যার পর! |
সৌরভের স্বাস্থ্য ভালো নয়। (অস্তিবাচক) | সৌরভের স্বাস্থ্য খারাপ। |
আজকাল সব জিনিসই দুর্লভ। (নেতিবাচক) | আজকাল কোনো জিনিসই সুলভ নয়। |
দেশের সেবা করা সকলের কর্তব্য। (অনুজ্ঞাসূচক) | দেশের সেবা করো। |
শীতে দরিদ্র মানুষের খুব কষ্ট হয়। (বিস্ময়সূচক) | শীতে দরিদ্র মানুষের কী কষ্ট! |
যা বার্ধক্য তা বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। (সরল) | বার্ধক্যকে বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। |
সে মরবে তবু এ কথা বলবে না। (জটিল) | যদি তার মৃত্যুও হয়, তবুও এ কথা বলবে না। |
দয়া করে সব কথা খুলে বলুন। (যৌগিক) | দয়া করুন এবং সব কথা খুলে বলুন। |
ছাত্রদের অধ্যয়নই তপস্যা। (জটিল) | যারা ছাত্র অধ্যয়নই তাদের তপস্যা। |
সেই বাঁশির সুর ভারি মিষ্টি। (বিস্ময়সূচক) | আহ্! ভারি মিষ্টি সেই বাঁশির সুর! |
ভালো ছেলেরা শিক্ষকের আদেশ পালন করে। (মিশ্র) | যারা ভালো ছেলে, তারা শিক্ষকের আদেশ পালন করে। |
মহারাজ, তিনি আশ্রমে নাই। (অস্তিবাচক) | মহারাজ, তিনি আশ্রমের বাইরে আছেন। |
প্রিয়ংবদা যথার্থ কহিয়াছে। (নেতিবাচক) | প্রিয়ংবদা অযথার্থ কহে নাই। |
তাহারা কি পাষাণ? (নেতিবাচক) | তাহারা পাষাণ নয়। |
জননী ও জন্মভূমি কি স্বর্গের চেয়েও প্রিয় নয়? (নির্দেশসূচক) | জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও প্রিয়। |
আমি তোমাকে নিতে এসেছি। (জটিল) | আমি তোমাকে নেব বলে এসেছি। |
যদিও সে দরিদ্র তথাপি সে চরিত্রবান। (যৌগিক) | সে দরিদ্র কিন্তু চরিত্রবান। |
মন দিয়ে লেখাপড়া করা উচিত। (অনুজ্ঞাসূচক) | মন দিয়ে লেখাপড়া করো। |
হৈম তার অর্থ বুঝল না। (অস্তিবাচক) | হৈমর তার অর্থ বুঝতে অপারগ রইল। |
তোমার নাম কী? (অনুজ্ঞা) | তোমার নাম কী বলো। |
এখনই কি কলেজে যাবে না? (অনুজ্ঞা) | এখনই কলেজে যাও। |
তুমি সফল হও। (নির্দেশ) | তোমার সাফল্য কামনা করি। |
তাদের জয় হোক। (নির্দেশ) | তাদের জয় কামনা করি। |
লোভ পরিত্যাগ করলে সুখে থাকবে। (জটিল) | যদি লোভ পরিত্যাগ করো, তাহলে সুখে থাকবে। |
সময় নষ্ট করো না। (নির্দেশ) | সময় নষ্ট না করার পরামর্শ দিচ্ছি। |
আমার কথা বিশ্বাস করো, তোমার মঙ্গল হবে। (সরল) | আমার কথা বিশ্বাস করলে তোমার মঙ্গল হবে। |
শাহানার স্বাস্থ্য ভালো। (নেতিবাচক) | শাহানার স্বাস্থ্য খারাপ নয়। |
মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না। (অস্তিবাচক) | মিথ্যাবাদীকে সবাই অপছন্দ করে। |
উজ্জ্বল স্বাস্থ্যহীন নয়। (অস্তিবাচক) | উজ্জ্বল স্বাস্থ্যবান। |
যে রক্ষক, সে ভক্ষক। (সরল) | রক্ষকই ভক্ষক। |
সবাই দেশের সেবা কর। (নির্দেশ) | দেশের সেবা করা সকলের কর্তব্য। |
পৃথিবী চিরস্থায়ী নয়। (অস্তিবাচক) | পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী। |
অন্ধের দুঃখ কেউ বুঝে না। (প্রশ্ন) | অন্ধের দুঃখ কি কেউ বুঝে? |
তোমাকে দিয়ে আর কি হবে? (নির্দেশ) | তোমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। |
জোর যার মুল্লুক তার। (প্রশ্নবাচক) | জোর যার মুল্লুক কি তার নয়? |
পরিশ্রমীরাই সাফল্য লাভ করে। (জটিল) | যারা পরিশ্রমী তারাই সাফল্য লাভ করে। |
পঞ্জিকার পাতা উল্টাইতে থাকিল। (নেতিবাচক) | পঞ্জিকার পাতা উল্টানো বন্ধ রইল না। |
পুলিশের লোক জানিবে কি করিয়া? (নির্দেশ) | পুলিশের লোকের জানিবার কোনো উপায় নেই। |
যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে (সরল)। | বুদ্ধিহীনরাই এ কথা বিশ্বাস করবে। |
একলা যেতে ভয় করবে না তো? (অস্তিবাচক) | একলা যেতে ভয় করবে কি না, তা জানতে চাই। |
লোভ পরিত্যাগ করলে সুখে থাকবে। (জটিল) | যদি লোভ পরিত্যাগ করো, তাহলে সুখে থাকবে। |
দেশের সেবা করা সকলের কর্তব্য। (অনুজ্ঞাসূচক) | সকলেই দেশের সেবা করবে। |
এ আশ্রমমৃগ, বধ করিবেন না। (অস্তিবাচক) | আশ্রমমৃগ, বধ করা থেকে বিরত হন। |
হৈমন্তী চুপ করিয়া রহিল। (নেতিবাচক) | হৈমন্তী কোনো কথা কহিল না। |
যে অন্ধ, তাকে আলো দাও। (সরল) | অন্ধকে আলো দাও। |
যদি পড়াশোনা না করো, তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। (যৌগিক) | পড়াশোনা করো, নইলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। |
শৈশবে তাঁর বাবা মারা যান। (প্রশ্নবাচক) | তাঁর বাবা কি শৈশবে মারা যান নি? |
সুসংবাদটা পেয়ে সে আনন্দিত হলো। (জটিল) | যখন সে সুসংবাদটা পেল, তখন সে আনন্দিত হলো। |
কেহ কহিয়া দিতেছে না। (অস্তিবাচক) | সকলেই নীরব থাকিতেছে। |
বরফ গলিল না। (অস্তিবাচক) | বরফ অগলিত রইল। |
পুলিশের লোক জানিবে না। (প্রশ্নবোধক) | পুলিশের লোক জানিবে কি? |
এ কথা কোনো বাপ ভদ্র সমাজে কবুল করিতে চাহিত না। (প্রশ্নবাচক) | এ কথা কোনো বাপ ভদ্র সমাজে কবুল করিতে চাহিত কি? |
তোমার এই কটা দিন মাত্র জানিলাম, তবুও তোমার হাতেই ও রহিল। (সরল) | তোমাকে এই কটা দিন মাত্র জানা সত্ত্বেও তোমার হাতেই ও রহিল। |
তোমার নাম কী? (অনুজ্ঞাসূচক) | তোমার নাম বলো। |
দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর। (বিস্ময়সূচক) | দৃশ্যটি কী সুন্দর! |
সে ‘কি’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে তর্ক করছে। (প্রশ্নবোধক) | সে কি ‘কি’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে তর্ক করছে না? |
তোমার সব জিনিসই দামি। (নেতি) | তোমার কোনো জিনিসই সস্তা নয়। |
ভুল সকলেই করে। (নেতি) | কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। |
আজ চাঁদ উঠেছে। (নেতি) | আজ চাঁদ না উঠে পারে নি। |
পুলিশের লোক জানবে না। (প্রশ্ন) | পুলিশের লোক জানবে কি? |
তুমি কি বইটি পছন্দ কর না? (নির্দেশ) | তুমি কি বইটি অপছন্দ কর। |
তার বক্তৃতায় কি ভালো ফল হবে? (নির্দেশ) | তার বক্তৃতায় ভালো ফল হবে না। |
নজরুল বাংলাদেশে জন্মেছেন। (প্রশ্নবোধক) | নজরুল কি বাংলাদেশে জন্ম নেননি? |
- পারিভাষিক শব্দের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
ভাই এই গুলার নোট গুলা কি কুরিয়ার এ দেওয়া যাবে
নোটে এত অনুশীলন নেই