ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি- Parts of Speech

ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বা পদ প্রকরণ
ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বা পদ প্রকরণ

ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বা পদ প্রকরণ

  • ১. ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখ।

  • উত্তর : ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি আট প্রকার। যথা-
    ক. বিশেষ্য : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, ভাব বা গুণ ইত্যাদির নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন- নজরুল, ঢাকা, মেঘনা, গাছ, পর্বত, দুঃখ, সুখ ইত্যাদি।
    খ. সর্বনাম : বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ বা পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে। যেমন- রফিক ভালো ছেলে। সে নিয়মিত স্কুলে যায়। উল্লিখিত উদাহরণের দ্বিতীয় বাক্যে ‘সে’ শব্দটি সর্বনাম।
    গ. বিশেষণ : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা ইত্যাদি তাকে বিশেষণ বলে। যেমন- নীল আকাশ, ঠান্ডা হাওয়া, করুণাময়ী তুমি ইত্যাদি।
    ঘ. ক্রিয়া : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনো কিছু করা, থাকা, হওয়া ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন- সে হাসছে। বাগানে ফুল ফুটেছে।
    ঙ. ক্রিয়া বিশেষণ : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা ক্রিয়ার দোষ, গুণ, সংঘটনের ভাব, কাল ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন- সে দ্রুত চলে। সে জোরে জোরে বলছে।
    চ. যোজক : যে শব্দ একাধিক পদ বা বাক্যের সাথে সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে যোজক বলে। যেমন- মিম আর তানিয়া দু’বোন। তিনি হয় রিকশায় না-হয় হেঁটে যাবেন। তোমাকে চিঠি লিখেছি কিন্তু উত্তর পাইনি।
    ছ. অনুসর্গ : যে শব্দগুলো বাক্যে বিভক্তির ন্যায় ব্যবহৃত হয়ে অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, তাকে অনুসর্গ বলে। যেমন- ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না। তোমার জন্য এটা আমার বিশেষ উপহার।
    জ. আবেগ শব্দ : আবেগ শব্দের সাহায্যে মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের শব্দ স্বাধীনভাবে বাক্যে বসে। মরি মরি, কী রূপমাধুরী! আরে, তুমি আবার কখন এলে!
  • ২. বিশেষ্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখ।

    উত্তর : যে পদ বা শব্দ দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, স্থান, কাল ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। বিশেষ্য ছয় প্রকার। যথা-
    ১. নামবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, স্থান, উৎসব, গ্রন্থ ইত্যাদি বোঝায় তাকে নামবাচক বিশেষ্য
    বলে। যেমন- ওমর, রফিক, ঢাকা, লন্ডন, নিউইয়র্ক, কাবুল ইত্যাদি।
    ২. জাতিবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো জাতিকে বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- মুসলিম, পাখি, নদী ইত্যাদি।
    ৩. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো একই জাতীয় ব্যক্তি বা প্রাণির সমষ্টিকে বোঝায় তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- দল, সমিতি, মাহফিল, পঞ্চায়েত ইত্যাদি।
    ৪. বস্তুবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বুঝায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- চাল, সোনা, রূপা ইত্যাদি।
    ৫. গুণবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো কিছুর দোষ, গুণ বা অবস্থা বুঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- তারুণ্য, বিষাদ, সুখ, দুঃখ, বার্ধক্য ইত্যাদি।
    ৬. ভাববাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ক্রিয়ার ভাব প্রকাশ পায় তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- ভোজন (খাওয়ার কাজ), দর্শন (দেখার কাজ), শয়ন (ঘুমানোর কাজ) ইত্যাদি।

     

  • ৩. বিশেষণ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখ।

    উত্তর : যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি নির্দেশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে। বিশেষণ পদ প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
    ১. নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে তাকে নাম বিশেষণ বলে। নাম বিশেষণ দুই প্রকার। যথা- বিশেষ্যের বিশেষণ ও সর্বনামের বিশেষণ। যেমন- ভালো ছেলে, করুণাময় তুমি, দয়ালু আল্লাহ ইত্যাদি।
    ২. ভাব বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা বিশেষণকে বিশেষিত না করে অন্য পদকে বিশেষিত করে তাকে ভাব বিশেষণ বলে। ভাব বিশেষণ চার প্রকার। যথা-
    ক. বিশেষণের বিশেষণ : যে পদ নাম বিশেষণ বা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন- তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। রকেট অতি দ্রæত চলে।
    খ. ক্রিয়া বিশেষণ : যে পদ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন- রকেট অতি দ্রæত চলে। ধীরে ধীরে বায়ু বয়।
    গ. অব্যয়ের বিশেষণ : যে বিশেষণ অব্যয় পদ বা তার অর্থকে বিশেষিত করে, তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যেমন- শত ধিক নির্লজ্জ যে জন। শীতের মৃদু শনশন বাতাস আমাদের কাঁপিয়ে দেয়।
    ঘ. বাক্যের বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করে তাকে বাক্যের বিশেষণ বলে। যেমন- সম্প্রতি বাংলাদেশ খেলায় জয়লাভ করেছে। সৌভাগ্যক্রমে আমরা সফল হয়েছি।

     

  • ৪. আবেগ শব্দ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখ।

    উত্তর : আবেগ শব্দের সাহায্যে মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করা হয়। ব্যাকরণিকভাবে এগুলোকে অনন্বয়ী, মনোভাববাচক অব্যয়ও বলা হয়। এ ধরনের শব্দ বাক্যের অন্য শব্দগুলোর সাথে সম্পর্কিত না হয়ে স্বাধীনভাবে নানা অর্থ প্রকাশ করা হয়। আবেগ শব্দের প্রকারভেদ-
    ক. সিদ্ধান্তবাচক আবেগ শব্দ : এই জাতীয় আবেগ শব্দের মাধ্যমে অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন- বেশ, তাই হবে। না, আমি কোথায় যাবো না।
    খ. প্রশংসাবাচক আবেগ শব্দ : এই জাতীয় আবেগ শব্দের মাধ্যমে প্রশংসা-তারিফ ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন- বাহ! দারুণ ছবি এঁকেছো।
    গ. বিরক্তিবাচকবাচক আবেগ শব্দ : এই জাতীয় আবেগ শব্দের মাধ্যমে অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন- কী আপদ! লোকটা যে পিছু ছাড়ছে না।
    ঘ. ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ : এই জাতীয় আবেগ শব্দের মাধ্যমে বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন- হায়! আমার কপালে যে কী আছে।
    ঙ. করুণাবাচক আবেগ শব্দ : এই জাতীয় আবেগ শব্দের মাধ্যমে করুণা, সহানুভূতি ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন- আহা! বেচারার কেউ নেই।
    চ. বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ : এ জাতীয় আবেগ শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে। যেমন- আরে, তুমি আবার কখন এলে। অ্যাঁ, কী বলছ? বাংলাদেশ জিতে গেছে।

     

  • ৫. যোজক কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখ।

    উত্তর : যে শব্দ একটি বাক্য বা বাক্যাংশের সাথে অপর বাক্য বা বাক্যাংশের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। যেমন- আমি গান গাইব আর তুমি নাচবে। যোজক শব্দ পাঁচ প্রকার। যথা-
    ক. সাধারণ যোজক : যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে সংযুক্ত করা যায় তাকে সাধারণ যোজক বলে। যেমন- আমি ও আমার বাবা বাজারে এসেছি।
    খ. বৈকল্পিক যোজক : যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে বিকল্প বোঝায় তাকে বৈকল্পিক যোজক বলে। যেমন- তুমি বা তোমার বন্ধু যে কেউ এলেই হবে।
    গ. বিরোধমূলক যোজক : এ ধরনের যোজক দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টি দ্বারা প্রথমটির বিরোধ নির্দেশ করে। যেমন- আমি চিঠি দিয়েছি কিন্তু উত্তর পাইনি।
    ঘ. কারণবাচক যোজক : এ ধরনের যোজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায় যার একটি অন্যটির কারণ। যেমন- আমি যাইনি, কারণ তুমি দাওয়াত দাওনি।
    ঙ. সাপেক্ষ যোজক : পরস্পর নির্ভরশীল যে যোজকগুলো একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাদের সাপেক্ষ যোজক বলে। যেমন- যদি টাকা দাও তবে কাজ হবে।

     

  • ৬. গঠন অনুসারে ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখ।

    উত্তর : যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন বুঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। গঠন অনুসারে ক্রিয়াপদ ছয় প্রকার। যথা-
    ক. অকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কোনো কর্ম থাকে না তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন- সে খায়। রফিক বাড়ি যায়।
    খ. সকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন- আমি ভাত ভাই। রফিক বই পড়ে।
    গ. দ্বিকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার দুটি কর্মপদ থাকে তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন- বাবা আমাকে বই দিয়েছেন। মা রাবেয়াকে উপহার দিয়েছেন। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্মকে মুখ্য কর্ম ও ব্যক্তিবাচক কর্মকে গৌণ কর্ম বলে। যেমন- উপরের উদাহরণগুলোতে ‘বই ও উপহার’ মুখ্য কর্ম এবং ‘আমাকে ও তানিয়া’ গৌণ কর্ম।
    ঘ. প্রযোজক ক্রিয়া : কোনো কাজ অন্যকে দিয়ে করালে বা অন্যকে করতে অনুপ্রেরণা দিলে তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন- মা শিশুকে চাঁদ দেখায়। রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়ায়।
    ঙ. যৌগিক ক্রিয়া : অসমাপিকা ও সমাপিকা ক্রিয়া যদি একত্রে বসে সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন- ঘটনাটি শুনে রাখ। তিনি বলতে লাগলেন। ছেলেমেয়েরা শুয়ে পড়ল।
    চ. মিশ্র ক্রিয়া : বিশেষ্য, বিশেষণ বা অনুকারের পর ক্রিয়া যুক্ত হয়ে মিশ্র ক্রিয়া গঠিত হয়। যেমন- দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখ। সময় থাকতে ভালো হও। মাথা ঝিমঝিম করছে।

     

  • ৭. উপসর্গের অর্থবাচতা নেই, অর্থদ্যোতকতা আছে- আলোচনা কর।

    উত্তর : কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নিজস্ব অর্থ থাকাকে তার অর্থবাচকতা বলে। যেমন- ‘দেশ’ একটি শব্দ, যার নিজস্ব অর্থ (নির্দিষ্ট ভূখণ্ড) আছে; অর্থাৎ এর অর্থবাচকতা আছে। কিন্তু ‘প্র’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; অর্থাৎ এর অর্থবাচকতা নেই। কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টির ক্ষমতাকে তার অর্থদ্যোতকতা বলে। যেমন- ‘হার’ একটি শব্দ, যার অর্থ ‘পরাজয়’।
    অর্থহীন অথচ অর্থদ্যোতক যেসব অব্যয় নাম শব্দ বা কৃদন্ত শব্দের পূর্বে বসে শব্দগুলোর অর্থ সংকোচন, প্রসারণ বা অন্য কোনো পরিবর্তন করে, তাদের উপসর্গ বলা হয়। এগুলো যদি স্বাধীনভাবে থাকে, তাহলে এদের কোনো অর্থ হয় না। আর যদি কোনো শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়, তবেই এগুলো আশ্রিত শব্দকে অবলম্বন করে ভিন্ন অর্থ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন- বি + হার = বিহার (ভ্রমণ), আ + হার = আহার (খাবার), উপ + হার = উপহার (উপঢৌকন) ইত্যাদি। এ কারণেই বলা হয়- উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।

    ব্যাকরণ অনলাইন কোর্স
    ব্যাকরণ অনলাইন কোর্স- 01921122611

    অনুচ্ছেদ থেকে ব্যাকরণিক শব্দ নির্ণয়

     

  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষ্য চিহ্নিত কর-
    মার্জারি কমলাকান্তকে চিনিত; সে যষ্টি দেখিয়া বিশেষ ভীত হওয়ার কোনো লক্ষণ প্রকাশ করিল না। কেবল আমার মুখপানে চাহিয়া হাই তুলিয়া, একটু সরিয়া বসিল। বলিল, ‘মেও!’ প্রশ্ন বুঝিতে পারিয়া যষ্টি ত্যাগ করিয়া পুনরপি শয্যায় আসিয়া হুঁকা লইলাম। তখন দিব্যর্কণ প্রাপ্ত হইয়া, মার্জারির বক্তব্যসকল বুঝিতে পারিলাম।
  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ চিহ্নিত কর-
    কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠল রফিক। ধীরে বাতাস বইছে। বিলাসী ফ্ল্যাটের বারান্দায় বসে সে দৃষ্টি ছড়িয়ে দিয়ে শরতের শিশিরসিক্ত হাওয়ায় দুলতে থাকা লনের গাঢ় সবুজ আমগাছের দিকে। এ ছাড়া বাহারি বাগানরে চমৎকার সব ফুলের দিকে তাকিয়ে তার চোখ জুড়িয়ে যায়।
  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি অনুসর্গ চিহ্নিত কর-
    তোমার প্রতি আমার আর কোনো অভিযোগ নেই। তোমার অবস্থান এখন আমার চেয়ে অনেক দৃঢ়। তাই তোমার সাথে পাল্লা দেওয়া আমার অনুচিত। তোমার পানে তাকিয়ে মনের মতো করে মন রাঙানোটাও এখন আমার জন্য বেমানান।
  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে সর্বনাম পদ বের কর-
    আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র। এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যরে হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে। তবুও ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে। ইহা সেই ফুলের মতো যাহার বুকের ওপর ভ্রমর আসিয়া বসিয়া ছিল এবং সেই পদক্ষেপের ইতিহাস তাহার জীবনের মাঝখানে ফলের মতো গুটি ধরিয়া উঠিয়াছে।
  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষণ পদ বের কর-
    খুব ভোরে সে ঘর থেকে বের হলো। ব্যস্ত ঢাকা তখনো নিদ্রাদেবীর কোলে সমর্পিত। ক্লান্ত চাঁদ সূর্যের প্রভায় বিলীন হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে স্বচ্ছ গ্লাসে চা পান করছে দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্ণয় কর-
    গরিবকে সাহায্য করা উচিত। গাড়িটা বেশ জোরে চলছে। তিনি একমনে টিভি দেখছেন। যত মধু তত মিষ্টি। কী-জ্বালা, আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব।
    উত্তর : গরিবকে (বিশেষ্য), জোরে (ক্রিয়া বিশেষণ) একমনে (ক্রিয়া বিশেষণ), যত তত (সাপেক্ষ সর্বনাম) কী-জ্বালা (আবেগ শব্দ)।
  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে অব্যয় পদ বের করো-
    আমানকে নিয়ে ওর মায়ের অনেক আশা। ওর কাছে মায়ের অনেক চাওয়া, ওর জন্য অনেক আয়োজন। ওকে ছাড়া ওর মায়ের এক মুহূর্ত চলে না। ওর সাথেই মায়ের সব সলাপরামর্শ।
  • নিচের অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষণ পদ নির্ণয় করো-
    সাদা মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। হঠাৎ টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হলো। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠল।
  • আরও পড়ুন : বাক্য রূপান্তর 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart

You cannot copy content of this page

Scroll to Top