Skip to content

বাংলাদেশ পরিচিতি- Information about Bangladesh

বাংলাদেশ সম্পর্কিত তথ্য

  • বাংলাদেশ নামের উৎপত্তি ও বিবর্তন : বঙ্গ > বাঙ্গাল > বাঙলা > সুবা-ই-বাঙলা > বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি > পূর্ববঙ্গ > পূর্ব পাকিস্তান > বাংলাদেশ।

    নামকরণ

    ইতিহাস
    বঙ্গ

    প্রাচীন জনপদ

    বাঙ্গাল

    বঙ্গ+ ক্ষেতের আইল
    বাঙলা

    শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ

    সুবাই বাঙলা

    আকবর
    বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি

    ব্রিটিশ শাসন

    পূর্ববঙ্গ

    বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
    পূর্ব পাকিস্তান

    পাকিস্তান (১৯৫৬)

    বাংলাদেশ

    ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ (বঙ্গবন্ধু)

  • নামকরণ : ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দির মৃত্যুবার্ষিক অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের নাম ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন।
  • উপনিবেশ : বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের উপনিবেশে ছিল এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তা থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
  • সাংবিধানিক নাম : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (People`s Republic of Bangladesh).
  • সীমান্ত দৈর্ঘ্য : ৪৪২৭ কি.মি.। (জরিপ অধিদপ্তর ওয়েবসাইট)
    ক. ভারতের সাথে সীমানা : ৪১৫৬ কি.মি.।
    খ. মিয়ানমারের সাথে সীমানা : ২৭১ কি.মি.।
  • আয়তন : ১,৪৭,৬১০ বর্গ কি. মি.।
  • আইনসভা : জাতীয় সংসদ (House of the Nation)।
  • সংবিধানের ইংরেজি পাঠ : People’s Republic of Bangladesh.
  • জাতীয় প্রতীক : উভয় পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পানিতে ভাসমান শাপলা ফুল। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা ও উভয় পাশে দুটি করে মোট চারটি তারা।
    **চারটি তারকা চিহ্ন : জাতির লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা।
    **পানি, ধান ও পাট : বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি।
    **শাপলা ফুল : অঙ্গীকার, সৌন্দর্য ও সুরুচির প্রতীক।
    জাতীয় প্রতীক

    পটুয়া কামরুল হাসানের নেতৃত্বে জাতীয় প্রতীক ডিজাইন করা হয়। তাঁর সাথে ছিলেন নকশাবিদ মোহাম্মদ ইদ্রিস ও শিল্পী শামসুল আলম। এটি ১৯৭২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা পায়। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি, প্রাকৃতিক নিসর্গ এবং জাতি হিসেবে আমাদের দৃঢ়তা। জাতীয় প্রতীক কেবল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করতে পারেন। সংবিধানের ৪(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় প্রতীক সম্পর্কে বলা হয়েছে।
  • রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম : লাল রংয়ের বৃত্তের মাঝে হলুদ রংয়ের মানচিত্র। ওপর দিকে লেখা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, নিচে লেখা সরকার এবং বৃত্তের দু পাশে দুটি করে ৪টি তারকা। এর ডিজাইনার এন এন সাহা।
  • অবস্থান : ২০ ডিগ্রি ৩৪ˊ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬ ডিগ্রি ৩৮ˊ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ০১ˊ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা থেকে ৯২ ডিগ্রি ৪১ˊ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। বাংলাদেশ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে ও পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
    বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যে রেখা প্রবেশ করেছে : কর্কটক্রান্তি রেখা (Tropic of Cancer)।
    কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর জেলার উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গিয়েছে।
  • ঢাকার প্রতিপাদ স্থান : চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।
    কোনো স্থানের ঠিক বিপরীত স্থানকে (১৮০০ বিপরীত) প্রতিপাদ স্থান বলা হয়। প্রতিপাদ স্থানের সাথে সময়ের দূরত্ব ১২ ঘন্টা। বাংলাদেশের উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখা) ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা অতিক্রম হয়েছে।
  • জলবায়ু : ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু ও সমভাবাপন্ন আবহাওয়া বিরাজমান।
    **ঋতু বা মৌসুম বদলের সময় বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় বলে বাংলাদেশের বায়ুপ্রবাহকে মৌসুমি বায়ু বলে।
  • সমুদ্রসীমা : ১,১৮,৮১৩ বর্গ কি. মি.। (৮ জুলাই, ২০১৪- রয়টার্স)
    {বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র প্রকাশ করেছে : ড. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউড}
  • মোট স্থলসীমা : ৪,৪২৭ কিলোমিটার।
  • অমীমাংসিত সীমান্ত : ৬.৫ কি. মি.।
    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিনটি অমীমাংসিত অঞ্চল রয়েছে। যথা-
    ক. ফেনীর মুহুরীর চর (২ কি.মি.)
    খ. সিলেটের লাঠিটিলা (৩ কি. মি.)
    গ. পঞ্চগড়েরর দইখাতা (১.৫ কি.মি.)
    বর্তমানে কেবল মুহুরীর চর নিয়েই বিতর্ক রয়ে গেছে।
  • অর্থনৈতিক সমুদ্র সীমা : ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০.৪ কি. মি.)।
  • রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা : ১২ নটিক্যাল মাইল।
    **নটিক্যাল মাইল নৌপথ ও আকাশপথের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ে ব্যবহৃত পরিমাপকের একক। A nautical mile is 1,852 meters, or 1.852 kilometers. In the English measurement system, a nautical mile is 1.1508 miles or 6,076 feet.  
    [**অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা : মহীসোপানের ততটুকু সীমা যেখানে অধিকৃত দেশের সকল সমুদ্র সম্পদের অধিকার অব্যহত। সামুুদ্রিক, খনিজ ও প্রাণিজ কিংবা প্রবাল-শৈবাল হতে শামুক-ঝিনুক এসব যা অর্থনৈতিক সীমায় থাকে তার বৈধ মালিকানা অধিকৃত দেশের।
    **রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা : মহীসোপানের ততটুকু অংশ যা অধিকৃত দেশের নৌবাহিনী কর্তৃক সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় থাকে। এ অংশে সাধারণত অন্য দেশের নাগরিকদের কোনো উদ্দেশ্যে আসা নিষেধ, কোনো যুদ্ধযান প্রবেশ আইনত লঙ্ঘনীয় এবং এ অংশের সমুদ্রপথ ব্যবহারের জন্য অধিকৃত দেশের অনুমতি আবশ্যক।]
  • সীমান্তবর্তী দেশ : দুটি। যথা- ভারত ও মিয়ানমার।
    **বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাজ্য দুটি। যথা- রাখাইন ও চিন রাজ্য।
    বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের জেলা ৫টি। যথা- আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ। ভারতের সেভেন সিস্টার্সভুক্ত (আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড ও মণিপুর) ৪টি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত আছে।
    **ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের সাথে ভারতের কোনো সীমান্ত নেই। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সবগুলো জেলা ভারতের সাথে সংযুক্ত আছে।
  • সীমান্তবর্তী জেলা : ৩২টি {ভারত (৩০) ও মিয়ানমার (৩)}।
    **একমাত্র রাঙামাটি জেলা দুই দেশের সাথেই সংযুক্ত। বাংলাদেশ-ভারত-মায়ানমার রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে মিলিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকাবরিশাল বিভাগের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা নেই।
    মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা তিনটি। যথা : রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার।
  • সীমান্তবর্তী ভারতীয় জেলা : ১৫টি {পশ্চিমবঙ্গের জেলা : ৮টি}
  • রাজধানী : ঢাকা।
রাজধানী রূপে ঢাকা
                                                                   রাজধানী রূপে ঢাকা
  • বাণিজ্যিক রাজধানী : চট্টগ্রাম।
    **দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ও বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ এই বন্দরের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়। প্রাচীনকাল থেকেই চট্টগ্রামে বিদেশি বণিকরা বাণিজ্য পরিচালনা করত। তাই চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। বাংলাদেশের প্রথম জেলা চট্টগ্রাম। ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খানের আমলে এটি আরাকানদের থেকে উদ্ধার করে মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত করা হয়।
  • স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস : ২৬ মার্চ।
    **স্বাধীনতার পর থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৮০ সালের ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
  • বিজয় দিবস : ১৬ ডিসেম্বর।
  • রাষ্ট্রভাষা : বাংলা। (৩নং অনুচ্ছেদ, বাংলাদেশের সংবিধান)
  • মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র : SPARRSO {১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন}
  • গ্রিনিচ মান সময় : +৬ ঘন্টা।
  • অভিন্ন নদী সংখ্যা : ৫৭টি।
    ভারতের সাথে বাংলাদেশের নদী : ৫৪টি।
    মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের নদী : ৩টি। যথা- নাফ, সাঙ্গু ও মাতামহুরী।

 

যে তথ্যগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হবে

  • আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় : ৩টি। যথা-
    Islamic University of Technology, গাজীপুর
    Asian University of Women, চট্টগ্রাম
    South Asian University, ঢাকা (সূত্র- UGC website)
  • জিআই পণ্য ২১টি। যথা-
    জামদানি, ইলিশ, হিমসাগর আম, ঢাকাই মসলিন, বিজয়পুরের সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক ও বাগদা চিংড়ি, ফজলি আম, তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ও আশ্বিনা আম, বগুড়ার দই, সিলেটের শীতলপাটি, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, কুমিল্লার রসমলাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম ও ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল।
  • মোট জনসংখ্যা : ১৬.৯১১ কোটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ১.৩৭%।
  • গড় আয়ু : ৭২.৮ বছর (পুরুষ : ৭১.২ ও নারী ৭৪.৫ বছর)। {বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-২০২০}
  • মাথাপিছু আয় : ২৮২৪ মার্কিন ডলার। {বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২২}
  • মুদ্রাস্ফীতির হার : ৫.৮৩% (জুলাই ২০২২)।
  • তফসিলি ব্যাংক : ৬১টি। {রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি, বিশেষায়িত ব্যাংক ৩টি, বেসরকারি ব্যাংক ৪৩টি, বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যাংক ৯টি}
    তফসিলী ব্যাংক : যে ব্যাংকগুলো ‘বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২’ আদেশ অনুসারে পরিচালিত হয় সেগুলোকে তফসিলি ব্যাংক বলে (Scheduled)।
    অ-তফসিলী ব্যাংক : বিশেষ ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত এবং যে ব্যাংকগুলো বিশেষ আইন দ্বারা পরিচালিত হয় তাকে অ-তফসিলী ব্যাংক বলে। যেমন- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ইত্যাদি।
  • আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর : তিনটি। 
  • বিভাগ : ৮টি। {প্রস্তাবিত : ফরিদপুর (পদ্মা) ও কুমিল্লা (ময়নামতি)}
  • সিটি কর্পোরেশন : ১২টি (ময়মসসিংহ)।
  • স্টক এক্সেচেঞ্জ : ২ টি (ঢাকা ও চট্টগ্রাম)
  • EPZ : ১০টি। (সরকারি ৮টি-বেসরকারি ২টি) {EPZ পরিদর্শন ক্ষমতা : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন}
  • সমুদ্র বন্দর : ৩টি (চট্টগ্রাম-মংলা ও পায়রা)।
  • নদী বন্দর : ৪৩টি (সর্বশেষ : নাজীরগঞ্জ, পাবনা)।
  • স্থলবন্দর : ২৫টি (সর্বশেষ : মুজিবনগর স্থল ও কাস্টমস সেশন, মেহেরপুর)। {স্থল-নদী ও সমুদ্র বন্দরগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন}
  • গ্যাসক্ষেত্র : ২৯টি। (সর্বশেষ : ইলিশা-১, ভোলা)
  • আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন অনুশীলন সিরিজের বইগেুলোতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page