Skip to content

নবাব সিরাজের পতনের কারণ ও বিশ্লেষণ

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কারণ কী?

  • ভারতবর্ষ বহুকাল থেকেই ইউরোপের কাছে একটি রহস্যাবৃত বিচিত্র দেশ হিসেবে পরিগণিত ছিল।১ প্রাচীনকাল থেকেই ইউরোপের সাথে ভারতের সাংস্কৃতিক বাণিজ্য গড়ে ওঠে। বিভিন্ন সময় ভারতে আসার পথ আবিস্কারে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত একদল আরবীয় নাবিকের সহযোগিতায় ভাস্কো-দা-গামা ১৪৯৮ সালের ১৭ মে ভারতে আসার পথ আবিস্কার করেন।২ ভারতে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আগমন ঘটে পর্তুগিজদের। কিন্তু ব্যবসার পাশাপাশি চলে তাদের দস্যুতা। এরই প্রেক্ষিতে সম্রাট শাহাজানের সুবাদার কাসিম খান হুগলীর পর্তুগীজ ঘাটি ধ্বংস করে দেন।৩
    ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও পর্তুগিজ সংঘর্ষ : ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয় ১৬০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাকালীন এর সদস্য সংখ্যা ছিল ২১৮ জন।৪ এই ব্রিটিশ বণিক সংগঠনটি প্রাচ্যে একচেটিয়া বাণিজ্য করে এবং একসময় ভারতে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।৫ ভারতে কোম্পানির আগমনের পর ১৬০৮ সালে কোম্পানির পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন হকিন্স সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের আবেদন জানান। সম্রাট তাদের আবেদন পূরণের আশ্বাস দেন। কিন্তু সুরাটের পর্তুগিজ বণিকদের বিরোধিতার ফলে তা ব্যর্থ হয় এবং সেখান থেকে ইংরেজদের তড়িয়ে দেওয়া হয়।১৬১২ সালে ক্যাপ্টেন বেস্টের নেতৃত্বে দুটি ব্রিটিশ বাণিজ্য জাহাজ সুরাট বন্দরে নোঙর করে। পর্তুগিজরা ক্যাপ্টেন বেস্টকে প্রতিরোধের জন্য জাহাজ পাঠালে ব্রিটিশরা পর্তুগিজদের বিধ্বস্ত করে ফেলে। পর্তুগিজ শক্তিকে পাল্টা মোকাবিলা করায় ভারতে ব্রিটিশদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। যার প্রেক্ষিতে ১৬১৩ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর এক ফরমান দ্বারা সুরাটে ইংরেজদের একটি বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন।৭ ১৬৬০-১৬৮০ সাল পর্যন্ত অরাজনৈতিক সংস্থা হিসেবে স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করে।৮ অতঃপর বাণিজ্যের নামে তারা রাজ্যলিপ্সু হয়ে ওঠে।৯

    বার বার মারাঠা আক্রমণে বিপর্যস্ত আলীবর্দী খান বুঝেছিলেন যে, এখন ইংরেজদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে নতুন একটি যুদ্ধের পথ উন্মুক্ত করা হবে।১০ তাই তিনি এর থেকে নীরব ছিলেন। তার মৃত্যুর সময় সিংহাসনে ভাগীদার হন মুহাম্মদি বেগের স্ত্রী ঘসেটি বেগম ও উচ্চাভিলাসী জমিদার শওকত জঙ্গ। কিন্তু সব জল্পনা কল্পনা বাদ দিয়ে সিরাজই সিংহাসনে আরোহণ করে। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। অন্যদিকে ইংরেজরা তাদের সাথে সখ্য গড়ে সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। নবাব এগুলো সব জানতে পেরেও তাদের ডেকে এনে সতর্ক করে।

  • সিরাজের সমালোচনা-

  • ভারতবর্ষের অনেক অধুনা ইংরেজঘেষা ঐতিহাসিকরা সিরাজ পতনের জন্য ইংরেজদের দায়ী না করে খোদ সিরাজকে দোষারোপ করছেন। কারো কারো মতে সিরাজের অত্যাচারই তার পতনের কারণ। আবার কারও মতে বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা চেয়েছিল সিরাজের পতন।  অনেকে পলাশীর নাটককে ইংরেজদের বীরত্ব বলেও অপ্রপ্রচারের চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্ত ৫ বছর পরেই মাত্র ৫০০ ফকিরের হাতে ইংরেজ বীরদের (?) চরমভাবে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনা দেখতে পাই।১১আমরা প্রথমে ইংরেজদের পক্ষ থেকে আরোপিত আপত্তিগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। পরবর্তীতে সিরাজ পতনের প্রত্যক্ষ কারণগুলো তুলে ধরা হবে। একথা ঠিক যে, ইংরেজদের পক্ষ থেকে আরোপিত আপত্তিগুলো সিরাজ পতনের মূল কারণ না হলেও এগুলো সিরাজ পতনে ইন্ধন হিসেবে কাজ হয়েছে।
  • ১. সিরাজের শ্লথ চরিত্র-

  • তদানীন্তন ফরাসি কুঠির প্রধান ঔবধহ খধি বলেন, নবাব আলিবর্দীর মৃত্যুর আগে সিরাজ কেবল শ্লথচরিত্রই ছিল না, নিষ্ঠুরতারও পরিচয় দিয়েছে।১২ যার ফলে সিরাজের পতন ত্বরান্বিত হয়।
    এখানে একটা কথা মনে রাখা উচিত যে, সিরাজের সিংহাসন পূর্বচরিত্র নিয়ে আমাদের আলোচনা নয়। আমাদের দেখতে হবে, নবাব হওয়ার পর সিরাজ কেমন ছিল? এর স্বীকারোক্তি খোদ ইংরেজ কর্মচারী Luke Scrafton লিখেন, “আলীবর্দির মৃত্যুশয্যায় সিরাজ মদ্য স্পর্শ করবেন না বলে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তা সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন।১৩

    ২. সিরাজের দাম্ভিকতা-

  • সিরাজের দম্ভের কারণেই নাকি তার পতন হয়েছিল। অধ্যাপক হিল এমনটাই বলার চেষ্টা করেছেন।১৪ প্রমাণ স্বরূপ তিনি বলেছেন যে, সিরাজ বিদেশি বণিকদের কাছে আশা করেছিল যে, তারা নবাবের আদেশ নির্দ্বিধায় মেনে নিবে।
    আমরা দেখতে পাই, কাশিমবাজার কুঠি দখল করার পরও সিরাজদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেছিল।১৫ কিন্ত আমরা দেখতে পাই যে সিরাজ ক্ষমতারোহণের পর তার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ঘসেটি বেগমকে বুঝিয়ে শান্তির পথে বাগ মানিয়েছিলেন, তা দেখে অনেক ঐতিহাসিক অবাক হয়ে যান।১৬ সিরাজের প্রতিপক্ষের সাথে ইংরেজ-ফরাসিদের সখ্য ছিল। সেজন্য তারা কোনো কার্যালাপের জন্য নবাবের দরবারে যেত না।১৭ সিরাজ তাদের এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরেও তাদেরকে দরবারে নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ না করার জন্য পরামর্শ দেন। সিরাজ-চরিত্র সম্বন্ধে উইলিয়াম ওয়াটসনের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য,“নিজস্ব স্বভাবের দিক থেকে সিরাজ অত্যন্ত নিরীহ ও ভীতু প্রকৃতির লোক ছিল।”১৮

    ৩. সিরাজের অর্থলিপ্সা-

  • হিলসহ অনেকেই সিরাজের অর্থলিপ্সাকে তার পতনের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। প্রমাণ হিসেবে তারা নবাবের অভিষেকে ইংরেজদের উপঢৌকন না পাঠানো, কলকাতা আক্রমণের কথা উল্লেখ করেছেন।
    কিন্তু ইতিহাসে তাদের কথার সত্যতা পাওয়া যায় না। সিরাজ কলকাতা আক্রমণের ফলে যে ক্ষতি হয়, তা মূলত সংঘর্ষের সময় অগ্নিকাণ্ডের ফলে হয়।১৯ কলকাতা লুণ্ঠনের অভিযোগে নবাব মানিক চাঁদকে কারাদণ্ড দেন।২০ কলকাতা দুর্গ দখলের পর হলওয়েল মুক্তির জন্য নবাবকে টাকা সাধলে নবাব বলেন,
    “ও টাকা তার কাছেই থাকুক। ওকে অনেক যন্ত্রণা দেয়া হয়েছে, এবার তাকে মুক্তি দাও।”২১

    সিরাজউদ্দৌলা
    সিরাজউদ্দৌলা

    সিরাজ পতনের প্রত্যক্ষ কারণসমূহ

  • ১. ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের সংস্কার ও দুর্ভেদ্য করার প্রচেষ্টা : ১৭ শতকের শেষদিকে শোভা সিংহের বিদ্রোহের সময় বাংলার নবাবরা ইউরোপীয়দের কেল্লা নির্মাণের সুযোগ দেন। এই সুযোগে তারা তাদের কেল্লাগুলো দুর্ভেদ্য করে তোলে।২২ এরপরেও লন্ডন থেকে দুর্গ আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ পাঠানো হয়।২৩ এটা কেবল বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধের জন্যই নয়, দেশীয় রাজার বিরোধিতাও এর উদ্দেশ্য ছিল।২৪
    দক্ষিণ ভারতে ফরাসি-ইংরেজদের এই দুর্গনির্মাণ ও ইংরেজদের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কথা শুনে সিরাজ স্বভাবতই চিন্তিত ছিলেন। তিনি তাদেরকে দুর্গ অভেদ্য করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেন এবং ইংরেজদের নিরাপত্তার জন্য নবাবই যথেষ্ট বলে আশ্বাস দেন। আসলে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কলকাতার দুর্গ ও যুদ্ধসরঞ্জাম ধ্বংস করা।২৫

    ২. দস্তকের অপব্যবহার : ১৭১৭ সালে মুগল সম্রাট ইংরেজদের প্রতি তুষ্ট হয়ে যে ফরমান দিয়েছিলেন, তাতে কেবল কোম্পানির আমদানি-রপ্তানিকেই শুলকমুক্ত রাখা হয়েছিল। কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বাণিজ্যকে শুল্কমুক্ত রাখা হয়নি।২৬ কিন্ত কোম্পানির কর্মচারীরা নিজেদের দস্তক অপরের কাছে বিক্রি করে দিয়ে নবাবের প্রায় দেড় কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়।২৭ সিরাজ কেবল কোম্পানির দস্তকের অপব্যবহার রোধ করতে চেয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে সে কোম্পানি থেকে অর্থও আদায় করে।২৮

    ৩. রাজদ্রোহীদের আশ্রয়দান : দেশীয় বিদ্রোহীদের অন্যায় আশ্রয় দান নিয়ে বাংলার নবাবদের সাথে ইংরেজদের তিক্ত ঘটনা অনেকবারই হয়েছিল।২৯ সিরাজের আমলে কৃষ্ণদাস রাজ্যের ৫৩ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলে ইংরেজরা তাকে আশ্রয় দেয়। রাজদ্রোহীকে আশ্রয় দেওয়া রাজদ্রোহিতার শামিল। সিরাজ বারবার তাকে ফেরত দিতে এবং নির্মিত দুর্গ ভেঙে ফেলতে ফোর্ট উইলিয়াম কাউন্সিলের নিকট আদেশ দেন।৩০ তারা বন্দীকে ফেরত দিতে অস্বীকার করে।৩১ স্বভাবতই এখান থেকে তিক্ততার স্বাদ চরমে উঠে।

    ৪. ইংরেজদের ষড়যন্ত্র : প্রাসাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধে ইংরেজরা বেশ ভালোভাবেই ইন্ধন যোগায়। গাদ্দারির ক্ষেত্রে তারা কো ভাইদের পেয়ে যায়। জগৎশেঠের নেতৃত্বেই সব পরিচালিত হয়।৩২ কিন্ত সমস্যা দেখা দেয়, নবাবের পরের উত্তরাধিকারী নিয়ে। এক্ষেত্রে অনেক সাধনার পর মীর জাফরকে তারা রাজি করায়। ইংরেজদের পক্ষ থেকে মীর জাফরের সাথে বন্ধুত্ব ভাব বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।৩৩

    ৫. ইংরেজ বিতাড়নের উদ্যোগ : ইংরেজদের সাথে বার বার সন্ধির চেষ্টা করেও সিরাজ যখন অতিষ্ট হয়ে উঠেন, তখন খাজা ওয়াজিদকে লেখা এক চিঠিতে জানান, তিনটি কারণে ইংরেজদের বিতাড়ন করা আবশ্যক হয়ে গেছে।
    ক. দেশের আইন কানুন উপেক্ষা করে তারা দুর্গ নির্মাণ করছে।
    খ. এরা দস্তকের অপব্যবহার করছে, যার ফলে রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে।
    গ. কলকাতাকে সার্বভৌম রাজ্যে পরিণত করে রাজদ্রোহীদের আশ্রয় দিচ্ছে।৩৫
    ইংরেজরা এতেও কোনো বিচলিত হয় নি কারণ ২৩ এপ্রিল ফোর্ট উইলিয়ামের সভায় সিরাজকে অপসারণের নীতিগত অনুমোদন পাশ হয়।৩৬৬. অন্ধকূপ হত্যা : ইংরেজরা সিরাজের বিরোধিতায় জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য ‘অন্ধকূপ’ হত্যার গুজব ছড়িয়ে দেয়। তারা প্রচার করে যে, নবাব একটি ছোট ঘরে ১৪৬ জনকে রেখে দেয়, যার ফলে ১২৩ জন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। ফলে জনমনে সিরাজ অত্যাচারী রূপে প্রকাশিত হয় এবং ইংরেজদের প্রতিশোধের স্পৃহা বেড়ে যায়।

    ৭. অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র : আলীবর্দি খানের মৃত্যুর সময়ই তার উত্তরাধিকার নিয়ে বেশ কলহ সৃষ্টি হয়। এদের কলহের আগুনে ইন্ধনরূপে কাজ করে ইংরেজদের ষড়যন্ত্র।৩৫ আর এই কলহের জের ধরেই শেষ পর্যন্ত সিরাজের পতন হয়েছিল।

    ৮. প্রশাসনিক দুর্বলতা : মীর জাফরসহ বাকি দোসরদের গাদ্দারির কথা আগেই ফাঁস হয়ে যায়। কিন্তু নবাব মীর জাফরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন নি। সাধারণভাবে তাকে সেনাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেবার পরও শেষ পর্যন্ত তাকে সেনাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    ৯. যুদ্ধ ক্ষেত্রে অদূরদর্শিতা : মীর মদন ও মোহনলালের আক্রমণে ইংরেজরা যখন দিশেহারা, তখন নবাব মীর জাফরের পরামর্শে যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়। তখন যদি নবাব ইংরেজদের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতেন তবে ফলাফল অন্য কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
  • উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় সিরাজের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিই তাঁর পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, ইংরেজদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কলহ থাকায় সিরাজ নির্বিঘেœ দেশ পরিচালনা করতে পারেন নি।রচনায়
    ওমর ফারুক
    রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
    01921122611 

    তথ্যসূত্র

    ১. ডঃ ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত, বাঙ্গালার ইতিহাস, পৃ. ১৫৫
    ২. শচীনান্দ ভট্টাচার্য, A dictionary of Indian History, পৃ. ২৫৪
    ৩. ইসলামী বিশ্বকোষ,ইফাবা, ২৬ খণ্ড, পৃ. ৪১১-৪১২
    ৪. শচীনান্দ ভট্টাচার্য, A dictionary of Indian History, পৃ. ২৫৪
    ৫. বাংলাপিডিয়া, ১খ, পৃ.৪৪৭
    ৬. বাংলাপিডিয়া, ১খ, ৪৪৭
    ৭. আর.সি.মজুমদার সম্পাদিত An Advance history of India, p.336
    ৮. P. E. Robert, History of British India, p. 41
    ৯. An Advance history of India, p.638 Edited by R.C.
    ১০. বাংলাপিডিয়া, ১ম খ, পৃ. ৪৪৯

    ১১. ড. মুজিবুর রহমান,পলাশীর যুদ্ধ ও নীল বিদ্রোহ, পৃ: ৩
    ১২. Law’s Memoir, in S.C. Hill, p. 62, Vol. 3
    ১৩. Luke Scrafton, Reflaction on the Government & company Indostan, p.54
    ১৪. C. Hill, p. 62, Vol. 3
    ১৫. Brijen K. Gupta, Sirajauddaulah, p.57
    ১৬. Yusuf Ali khan, Tarik-i-Bangla-i-Muhabatjangi,tr. Abdus Subhan, p.118
    ১৭. Law’s Memoir, in S.C. Hill, p. 162, Vol. 3
    ১৮. Watts to his father, 13 August 1757, Hill. Vol.2, p.467
    ১৯. Brijen K. Gupta, Sirajauddaulah, p.81
    ২০. Robert Orme, History of the Transactions of the British Nation in Indostan, V.2,p.147
    ২১. Holwell’s Narrative, Hill, p. 152, Vol. 3
    ২২. Chaudhuri, Trade and Commercial Organization in Bangle (1650 – 1720), p.39-40
    ২৩. Court of Directors to Fort William Council, Despatch Book, p.16, V.3
    ২৪. Wats to Drake & Fort Wiliam Council, B.P.C, 15 August 1755, C.R Wilson, Old Fort William in Bangle, p.50, V. 2
    ২৫. Eur. D.283, Fort William, p.26
    ২৬. Chaudhuri, Trade and Commercial Organization in Bangle (1650 – 1720), p. 42
    ২৭. Eur. p.25
    ২৮. প্রাগুক্ত, পৃ : 15-25
    ২৯. Brijen K. Gupta, Sirajauddaulah, p.38-39
    ৩০. মুহাম্মদ মোহর আলী, History of the Muslims of Bangle, p.657, V.1
    ৩১. কৃষ্ণদাসকে সমর্পণ না করার পেছনে ইংরেজদের তিনটি খোড়া যুক্তি দেখায়।
    ক. কৃষ্ণদাস যেহেতু ইংরেজদের আশ্রয়ে আছে,তাই এখন তাকে সমর্পণ করলে ইংরেজ জাতির মর্যাদা হ্রাস পাবে।
    খ. সিরাজ কৃষ্ণদাসের সম্পদ লুট করতে চেয়েছেন।
    গ. কৃষ্ণদাসকে সমর্পণ করলে সামনে নবাব ইংরেজ কোম্পানীকে কাউকে ফেরত দেবার ব্যাপারে জবরদস্তি করার সুযোগ পাবেন। আবু তাহের, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ও পলাশীর ট্র্যাজেডি, পৃ : ৮৬।
    ৩২. C. Hill, p. 457, Vol. 3
    ৩৩. Robert Orme, History, p.1,148, V.2
    ৩৪. C. Hill, p. 4-5, Vol. 1
    ৩৫. Scrafton to Walsh, Hill, p.343, V. 2
    ৩৬. Peter Marshal, Bangal,91; Balay

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page