চাকমা বিদ্রোহ (Chakma rebellion of 1777-1787)

 চাকমাদের ঐতিহাসিক পটভূমি ও জুম চাষ

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম

       

  • জুম চাষ কী?

  • চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে প্রথম কুকিরা বসবাস করত। একসময় চাকমারা কুকিদের আরও উত্তর-পূর্ব দিকে সরিয়ে দিয়ে আরাকান দখলে নেয়। কিন্তু ব্রহ্মযুদ্ধের সময় (১৮২৪-১৮৫২) মগরা চাকমাদের তাড়িয়ে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণাংশ দখল করে। তখন চাকমারা পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ‘জুম’ চাষ করত। এই আদি নিয়মে প্রতি বছর এপ্রিল মাসে গ্রামের সমস্ত লোক কোনো একটি সুবিধাজনক স্থানে বসতি গড়ত। অতঃপর প্রত্যেক পরিবারের সকল লোক জঙ্গল কেটে চাষের জন্য উপযুক্ত পরিমান জমি আবাদ করত। ফসল পাকলে তা বন্যপ্রাণিদের হাত থেকে রক্ষার জন্য তারা দল বেধে সারারাত জমি পাহারা দিত। দুই বছর চাষের ফলেই জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। এভাবে যখন গ্রামের চারপাশের সকল উর্বর জমি চাষ করা শেষ হয়ে যেত তখন তারা অন্যত্র গিয়ে বসতি স্থাপন করত। এই আদি প্রথায় চাষের ফলে কোনো জমির উপরই জমিদারের স্থায়ী স্বত্ব তৈরি হত না। ফলে ওই সকল জমির রাজস্ব নির্ধারণেরও কোন উপায় ছিল না। এভাবে জুমের মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ের অনুর্বর পার্বত্য জমিতে চাকমারা কার্পাস বা তুলা চাষ করত। অতঃপর সমতলে সেই তুলার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় চাল, লবণ ও অন্যান্য জিনিস সংগ্রহ করত।

 

জুম চাষ
   পাহাড় পুড়িয়ে জুম চাষ
  • মুগলদের সাথে সম্পর্ক- 

  • মুগলরা ১৬৬৬-১৭৬০ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে। ১৭১৩ সালে রাজা জল্লিল খান চাকমা শাসনে পরিবর্তন আনেন। প্রয়োজনীয় দ্রব্যকে সহজলভ্য করার জন্য তিনি মোগলদের নিকট উপহার ও পত্র প্রেরণ করেন । মোগল ও চাকমারা এভাবেই পরস্পরের কাছে এসেছিল।
    ১৭১৩ সালে সম্রাট ফররুখ সিয়ারের ফরমানবলে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সম্প্রদায় কর হিসেবে তুলা দিয়ে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহের অধিকার পায়। এভাবে মোগল আমলে চাকমারা প্রায় স্বাধীনভাবেই বসবাস করছিল। কিন্তু অঞ্চলটি ইংরেজ শাসনের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার সাথে সাথে তাদের স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহের পুরোনো ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়।
  • ব্রিটিশ শাসনে পার্বত্য অঞ্চল- 

  • ১৭৬০ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মীর কাসিমের কাছে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাবি দান করে এবং এর বিনিময়ে বর্ধমান, চট্টগ্রাম ও মোদিনিপুর অঞ্চলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা লাভ করে। ফলে চাকমাদের পার্বত্য অঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যটিও ইংরেজদের হাতে চলে যায়। এই সময় অঞ্চলগুলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে গেলেও পার্বত্য জনগোষ্ঠীর হেডম্যানতের কর্তৃত্ব বহাল রাখা হয়। ১৮২৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ কমিশনার স্বীকৃতি দেন যে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলো ব্রিটিশ প্রজা নয় বরং তারা কেবল করদাতা। ১৮৬০ সালে পার্বত্য অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামকে পৃথক করা হয়।
  • চাকমা ইংরেজ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত- 

  • ১৭৩৩ সালে চাকমা প্রধান শেরমাস্ত খান চাকলা ও রাঙ্গুনিয়া অঞ্চলের জমিদারি সনদ লাভ করে। এই এলাকাটি পাহাড়ি হলেও চাষাবাদযোগ্য ভূমি ছিল। জমিদার হওয়ায় তিনি সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে চলে আসেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ব্রিটিশদের অধিকারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই পার্বত্য অঞ্চলের কোনো অংশেই তারা শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেনি; বরং সে সময় ব্রিটিশরা মাত্র দুইজন পাহাড়িয়া দলপতির সন্ধান পেয়েছিল। এদের একজন ফুরু নামক আদিম জাতির নায়ক আর অপরজন চাকমা জাতির নায়ক।
    এই দলপতিরা প্রথমে ব্রিটিশ শাসকদের কার্পাস বা তুলা কর হিসেবে দিত। কিন্তু তার পরিমাণ নির্দিষ্ট ছিল না। একেক বৎসরে করের পরিমাণ একেক রূপ থাকত। ফলে ইংরেজরা অধিক কর আদায়ের উপায় হিসেবে ওই সময় ফড়িয়া নামক এক শ্রেণির আবির্ভাব ঘটায়।
  • ইংরেজদের রাজস্ব নীতি পরিবর্তন- 

  • ১৭৬১ সাল থেকে ইংরেজরা বারবার রাজস্বের হার বৃদ্ধি করতে থাকে। এমনকি তারা চাকমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়াবলিতে হস্তক্ষেপ করতে থাকে। ১৭৭২-৭৩ সালে ইংরেজরা চাকমাদের মুদ্রার মাধ্যমে রাজস্ব প্রদান করতে বাধ্য করে। এর ফলে চাকমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনে নানান সমস্যা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ১৭৭৭ সালে ইংরেজরা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর রাজস্বের হার আরও বাড়ায় এবং রাজস্ব সংগ্রহের জন্য ‘উদাদার’ (চুক্তিবদ্ধ ইজারাদার) নিযুক্ত করে। রাঙ্গুনিয়ার জমিদারি এলাকায় খাজনা হার বৃদ্ধি করা হয়।
    ইজারাদার বিভিন্ন কৌশলে এই সরল প্রকৃতির অধিবাসীদের থেকে অতিরিক্ত কর আদায় করত এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ কর কোম্পানিকে দিয়ে বাকিটা আত্মসাৎ করত। কোম্পানি রাজস্ব হিসেবে যে তুলা পেত তা বিক্রি করে মুদ্রায় পরিণত করার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে চুক্তি করত। এই দ্বিতীয় ব্যক্তিটি শাসকদের হাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিয়ে বাকি তুলা থেকে ফটকাবাজির মাধ্যমে প্রচুর মুনাফা লুট করত। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়ে। কারণ-

    প্রথমত, প্রথম ইজারাদার রাজস্বের নামে তাদের প্রায় সব তুলো লুট করত।
    দ্বিতীয়ত, লুটের পর যে সামান্য পরিমাণ তুলা বাকি থাকত তা চট্টগ্রামের সমতল ভূমিতে নিয়ে এর বিনিময়ে আদিবাসীদের পক্ষে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে উঠত। কারণ, সেই ব্যক্তি নামমাত্র মূল্যে বাকি তুলো তাদের নিকট থেকে ক্রয় করত। এছাড়া বিনিময় প্রথায় সহজ সরল চাকমা অধিবাসীরা সমান ওজনের দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য গ্রহণ করত। অর্থাৎ, সে যত কেজি দিচ্ছে তত কেজি ফেরত নিবে। যদিও পণ্য ভিন্ন হত। এটা ছিল তাদের আদি রেওয়াজ। এর সুযোগ নেয় তুলা ব্যবসায়ী ও ইজারাদররা। তারা চাকমাদের আট টাকা মূল্যের এক মণ তুলার বিনিময়ে দুই টাকা মূল্যের এক মণ লবণ প্রদান করে। ফলে একটি বা দুটি জিনিস নিলেই চাকমাদের সব তুলো শেষ হয়ে যেত। এভাবে নানা শোষণ ও নিপীড়নে তাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠে।
  • স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন- 

  • এক সময় চাকমাদের রাজা ছিলেন জোয়ান বখশ। তাঁর প্রধান নায়েব ছিলেন রুনু খান। রুনু খান রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য প্রজাদের উপর চাপ প্রয়োগ না করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাটাই সমীচীন মনে করেন। ১৭৭৭ সালে জোয়ান বখশের অনুমতিক্রমে রুনু খান স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। ইংরেজরা বহু কৌশল অবলম্বন করেও রুনু খানকে পরাজিত করতে পারে নি।
  • প্রথম চাকমা বিদ্রোহ (১৭৭৬-১৭৭৭)-

  • চাকমার প্রথম বিদ্রোহ করে ১৭৭৬ সালে। এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন চাকমা দলপতি রাজা শের দৌলত খাঁ ও জোয়ান বক্সের বাবা রামু খাঁ। রামু খাঁ সব চকমাকে একত্র করে বিদ্রোহের ডাক দেন। প্রথমে তারা কার্পাস দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারপর দলে দলে ইজারাদারদের তুলার গোলা লুট করতে থাকে। ইজারাদারদের সব তুলা লুট করা হয়। ইজারাদার ও তাদের কর্মচারিরা পালিয়ে যায়। বহু ইজারাদার মারা যায়।ইজারাদাররা ইংরেজদের সাহায্য প্রার্থনা করলে ইংরেজরা সেখানে একদল সেনা পাঠায়। চাকমারা ইংরেজদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে টিকে থাকতে পারবে না জেনে গেরিলা পদ্ধতিতে আক্রমণ অবলম্বন করে। ইংরেজ বাহিনী আক্রমণ করতে আসলে তারা গভীর পার্বত্য অঞ্চলে লুকিয়ে যেত। ইংরেজরা চাকমাদের না পেলে তাদের বাড়ি ঘর ক্ষেত নষ্ট করে দিত। ইংরেজরা চলে গেলে তারা ফিরে আসত এবং ইজারাদারদের উপর আক্রমণ চালাত। ইংরেজরা বহু চেষ্টা করেও চাকমাদের পরাস্ত করতে পারে নি।পরবর্তীতে ইংরেজরা একটি কৌশল অবলম্বন করে। তারা চাকমাদের পিছু তাড়া না করে সমতলের বিভিন্ন বাজারে সেনা পাহারা বসায়। ইংরেজরা জানত যে তুলার বিনিময়ে তাদের চাল, লবণ ইত্যাদি সংগ্রহ করতে বাজারে আসতে হবে। ইংরেজদের কৌশল সফল হয়। চাকমরা আনুগত্য স্বীকার করে। ইংরেজদের বার্ষিক ৫০১ মণ তুলা রাজস্ব বাবদ দিতে সম্মত হয়। এভাবে রানু খাঁর নেতৃত্বে প্রথম চাকমা বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
  • দ্বিতীয় (১৭৮২), তৃতীয় (১৭৮৪) চতুর্থ (১৭৮৭) চাকমা বিদ্রোহ-

  • যতদিন রাজস্ব আদায়ে ইজারাদারদের দায়িত্ব ছিল ততদিন চাকমাদের ক্ষোভ ছিল। রাজা দৌলত খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র জুম্মা খাঁ দলপতি হয়েই চাকমা অঞ্চলে ইজারাদারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। এবারও ইংরেজরা পূর্বের কৌশল অবলম্বন করে চাকমাদের নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ১৭৮৩-১৭৮৫ সাল পর্যন্ত ইজারাদাররা চাকমা অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে নি। ফলে ইংরেজরা ঐ তিন বছরের রাজস্ব মওকুফ করে। ১৭৮৭ সালে দৌলত খাঁ অপর একজন চাকমা নেতা বিদ্রোহ করে। তবে ২ বছর পরই তিনি বশ্যতা স্বীকার করেন।
  • ইংরেজদের বিরুদ্ধে চাকমাদের পাল্টা অবরোধ- 

  • ১৭৮১ সালে ইংরেজরা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেখানকার অধিবাসীরা লবণ, মাছ, শুটকি ইত্যাদি চট্টগ্রাম থেকে আমদানি করত। ইংরেজরা এসব দ্রব্য সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের কঠোর অবরোধ আরোপ করে। কিন্তু ইংরেজরা এতে সফল হয় নি।
    সেই সময় লবণ ব্যবসা ছিল অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। ইংরেজদের লবণ উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র ছিল চট্টগ্রামে এবং এই লবণ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় জ্বালানি কাঠ আসত পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে। রুনু খান সেই জ্বালানি কাঠ সরবরাহ বন্ধ করে দিলেন। এতে ইংরেজরা বিপদে পড়ল। ইংরেজদের কৌশল ইংরেজদের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করা হল।
  • Divide & Rule Policy-

  • ইংরেজরা এবার বিভক্তিকরণ নীতি অনুসরণ করে। গুপ্তচরের মাধ্যমে চাকমা রাজা জোয়ান বক্সের মনে এমন ধারণা সৃষ্টি করে যে, সেনাপতি রানু খান ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং জোয়ান বক্সকে তাড়িয়ে দিবে। ইংরেজদের এই কৌশল কাজে আসে। জোয়ান বক্স গোপনে ইংরেজদের সাথে আলোচনা শুরু করে। গভর্নর কলকাতায় গিয়ে সব রাজনৈতিক বিরোধ মিটিয়ে ফেলার আমন্ত্রণ জানান। ১৭৮৭ সালে তিনি কলকাতায় গিয়ে সরকারের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কয়েকজন অভিজাত ব্যক্তির ষড়যন্ত্রে দুর্বল হয়ে চাকমা রাজা ইংরেজদের সাথে সমঝোতামূলক চুক্তিতে আসতে বাধ্য হয়। কোম্পানি তাঁকে বৈধ রাজা বলে স্বীকৃতি দেয় এবং তিনি স্বাধীনভাবে তাঁর এলাকা শাসন করার ক্ষমতা দেয়। চুক্তির শর্তানুযায়ী-১. ইংরেজরা নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব প্রদানের বিনিময়ে চাকমাদের অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা স্বীকার করে নেয়।
    ২. মুদ্রার পরিবর্তে দ্রব্যের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের পদ্ধতি পুনঃপ্রচলিত হয়।
    ৩. সমতল ভূমি থেকে পার্বত্য অঞ্চলে অভিবাসন বন্ধ করার জন্য ইংরেজরা রাজি হয়।
    ৪. আরাকানদের আক্রমণ থেকে চাকমাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য কিছু ইংরেজ সেনা মোতায়েন করা হয়।
    আরও বলা হয় যে, জোয়ান বক্স রাঙ্গুনিয়া পরগনায় তাঁর জমিদারি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন এবং অন্যান্য জমিদারের মতো কোম্পানির একজন জমিদার হিসেবে সাধারণ আইনের অন্তর্ভূক্ত হবেন। এরই মাধ্যমে ১০ বছরের চাকমা বিদ্রোহের অবসান ঘটে।

     রানু খান চাকমা রাজা কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হন। তিনি বশ্যতা স্বীকার না করে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দোহাজারির দিকে চলে যান এবং সেখানে আত্মহত্যা করেন। 
    অনুশীলন সিরিজ
    অনুশীলন সিরিজ

    দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আন্দোলন করার পর ইংরেজ শাসকরা বুঝতে পারে যে, ইজারাদারি প্রথার অবসান না ঘটালে চাকমা বিদ্রোহ দমন করা যাবে না। ১৭৮৯ সালে বঙ্গীয় সরকারের প্রধান বাণিজ্য কর্তা হ্যারিস সুপারিশ করেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইজারাদারি প্রথা বাদ দিয়ে ইংরেজরা যেন সরাসরি চাকমা রাজার মাধ্যমে কার্পাস কর সংগ্রহ করে। সেই সুপারিশ অনুযায়ী ইংরেজরা চাকমা রাজাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে খাজনার হার বৃদ্ধি পাবে না। কিন্তু পরবর্তীতে ইংরেজরা সেই প্রতিশ্রুতি রাখে নি। ১৭৯১ সালে কার্পাসের বদলে টাকায় কর নেওয়া শুরু হয়।

     

  • অনুশীলন সিরিজের বইগুলোতে তথ্যগুলো পাবেন। বইগুলো দেখতে চাইলে  ক্লিক করুন এখানে-
    অনুশীলনের ইউটিউব চ্যানেল Omar FaruqOnushilon সাবস্ক্রাইব করুন।
  • আরও পড়ুন- ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart

You cannot copy content of this page

Scroll to Top