মুসলিম উম্মাহর এত বিরোধ কেন? ‘ই’ বাদ দিয়ে ‘ও’ বলতে শিখুন।

মুসলিম ‍উম্মাহর বিরোধ দূর করার উপায়

আজ মুসলমানদের মাঝে মতবিরোধের শেষ নেই। এই সব দেখে অন্য ধর্মের লোকেরা আমাদের টিটকারি করে। নাস্তিকরা ভেংচি মারে। বড় কোনো কাজে সফল হতে পারি না।
জামাত-চরমোনাই, তাবলীগ-ক্বাওমী ইত্যাদি বিরোধ লেগেই চলেছে।
আসলে এগুলো কোনো মৌলিক বিরোধ কি না…তা খুঁজে দেখি।
ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। রাসুল (সা.) আমাদের নবী। তিনি শ্রেষ্ঠ নবী।

আমাদের রাসূল ছিলেন সর্বগুণে গুনান্বিত। যুদ্ধ-আত্মশুদ্ধি-দাওয়াত-সামাজিক-রাজনৈতিক-পারিবারিক সব দিকেই তিনি ছিলেন সবার আদর্শ। সর্বক্ষেত্রেই তাঁর পদাচারণাই দেখিয়েছে যে, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। সর্বত্রই আছে ইসলামের আহকাম।

 

এবার দেখি পারস্পরিক বিরোধিতার কারণ কী?
দেখুন, রাসুল ছিলেন সর্বগুনে গুনান্বিত। কিন্তু আমাদের মতো অধমদের পক্ষে সব গুণে গুনান্বিত হওয়া অসম্ভব। এজন্য পারস্পরিক ইখতেলাফ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ, একটি দল বর্তমান পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করে মনে করল এখন রাজনীতির প্রতি গুরুত্ব বেশি দেয়া উচিত। তাই তাদের আদর্শে একটি শ্রেণি গড়ে উঠেছে।

অন্য দল মনে করল এখন দাওয়াতের দিকে মনযোগ দেয়া উচিত। তাই তারা দাওয়াত নিয়েই ব্যস্ত। অপর দল মনে করছে এখন আত্মশুদ্ধির পথে ধাবিত হওয়া উচিত। কোনো দল মনে করল এখন মুসলমানদের উচিত জিহাদ করা। ফলে তারা জিহাদ করছে।

 

এবার আপনিই বলুন, জিহাদ-রাজনীতি-দাওয়াত-আত্মশুদ্ধি এগুলো কোনোটি কি ইসলামের বাহিরে? সবাই তো ইসলামের কাজ করছে। তবে এই বিরোধ কেন?
আসলে ইসলাম একটি বৃক্ষ সমতুল্য। এর অনেক শাখা-প্রশাখা আছে। আপনি ধরে আছেন একটি শাখায়। বাকি শাখায় অন্যরা। আপনি যদি অন্য শাখাগুলোকে অবজ্ঞা করেন, তবে কী তা ঠিক হবে?
ঠিক তেমনি আজ আমরা শিখছি, দাওয়াতই দ্বিন, জিহাদই দ্বিন। না ভাই, এভাবে বললে বিরোধ ঘটে যাবে। আপনার কথা অর্থ হচ্ছে, জিহাদই দ্বীন বাকী আমল দ্বীন নয়।
আপনি এভাবে বলুন, দাওয়াতও দ্বীন, জিহাদও দ্বীন। তার মানে হচ্ছে, ইসলামের অনেক অংশ আছে। এর মধ্যে জিহাদও অন্যতম, দাওয়াতও অন্যতম।
তাহলেই দেখবেন পারস্পরিক বিরোধ কমে গেছে। (যদিও আকিদাগুলো সবার সহীহ হওয়া আবশ্যক) আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফীক দেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart

You cannot copy content of this page

Scroll to Top