আঠারো বছর কবিতার ব্যাখ্যা
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ (নির্ভরশীলতা পরিহার করে জীবনে দুঃসহ অবস্থায় পড়া)
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, (স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা)
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি। (দুঃসাহসী স্বপ্ন তরুণদের মধ্যে দেখা দেয়/ অসাধ্য সাধনের ক্ষমতা)
আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, (সকল প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ মনে করে এগিয়ে যাওয়া)
এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়– (অবিচল মনোভাব)
আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা। (পরাজিত হয়ে কৈশোরের কান্নার মানসিকতা থাকে না)
এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য (মানবজাতির কল্যাণে রক্তদান)
বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, (গতিশীল জীবন)
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য (মানবমুক্তির জন্য প্রাণ দিতে বা নিতে দ্বিধা করে না)
সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে। (নতুন পৃথিবী গড়ার জন্য শপথ নেয়)
আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর
তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা, (চারিদিকের অন্যায় দেখে তরুণরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে)
এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর (তীব্র অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়াশীল মন)
এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা। (ভালো-মন্দ পরামর্শ)
আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার (থেমে থাকার নয়)
পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান, (বৈপ্লবিক কাজ)
দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার (সংকটে এরা ভুল পদক্ষেপ নেয়)
ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ। (ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তরুণরা সুপথ থেকে বিপথে যায়)
আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে
অবিশ্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,
এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে (অজস্র ব্যর্থতার কারণে হতাশা প্রকাশ)
এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো। (সম্ভাব্য বিপদ মোকাবিলার জন্য এই বয়স ভয়ে কাঁপে)
তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে, (প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবন মূল্যায়ন করতে শিখে)
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী (অন্যায়ের প্রতিরোধে এই বয়সীরাই এগিয়ে আসে)
এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।
এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয় (ভীরু ও কাপুরুষ না হওয়ার উপদেশ)
পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে, (লক্ষ্য অর্জনে থেমে যায় না)
এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়– (প্রগতির জন্য যেকোনো ধরনের বিষয়ে)
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে। (জাতীয় জীবনে চালিকাশক্তি হওয়ার প্রেরণা)
Very good
ধন্যবাদ আপনাকে